৭ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি কেরানীগঞ্জের আবাসিক ভবনের আগুন
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ‘জাবালে নুর টাওয়ার’ নামের একটি বহুতল ভবনের ভূগর্ভস্থ গুদামে লাগা আগুন সাত ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। এ ঘটনায় ওই ভবনে বসবাসরত ৪২ জন বাসিন্দাকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
আজ শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু সংলগ্ন (বাবুবাজার সেতু) ওই ভবনের ভূগর্ভস্থ কাপড়ের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ, সদরঘাট, সিদ্দিকবাজারসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। দুপুর ১২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
জানা গেছে, আগুন লাগা ভবনটি ১০ তলাবিশিষ্ট। এটি নুরে আলম ও মো. ফারুক হোসেন নামের দুই ব্যক্তির মালিকানাধীন। ভবনটির ভূগর্ভস্থ, প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় কাপড়ের গুদাম ও দোকান আছে। তৃতীয় থেকে দশম তলা পর্যন্ত আবাসিক ফ্ল্যাট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। ভবনে বসবাসরত বাসিন্দারা তাঁদের মালামাল সরিয়ে এনে পার্শ্ববর্তী আগানগর কবরস্থানে রেখেছেন। বাসিন্দারাও সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। ঘটনাস্থলটি সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন। আগুনের খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় করছেন।
আগুন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের নেতৃত্বে আছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘গুদামটিতে বিপুল পরিমাণ কাপড়, ঝুট কাপড় ও সুতা মজুদ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমিয়ে এনেছে। আমরা আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
জাবালে নুর টাওয়ারের বাসিন্দা আবদুর রশিদ বলেন, ‘ভোর সাড়ে চারটার দিকে ধোঁয়া ও আগুনের কুণ্ডলী দেখতে পাই। তখন চিৎকার করে পরিবার–পরিজন নিয়ে নিচে নেমে আসি। তখন আশপাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারাও ছোটাছুটি করে নিচে নেমে আসে।’
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে এসেছেন জানিয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উমর ফারুক বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চলমান আছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিসকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।