নবাবগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগে পিটুনি দিয়ে শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ

ধর্ষণপ্রতীকী ছবি

ঢাকার নবাবগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগে পিটুনি দিয়ে এক শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় লোকজন। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার হাসনাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের নামে মামলা করেন।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছাত্রীর বাসায় গিয়ে পড়াতেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন শিক্ষক। পরে আর তিনি বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না। দুজনের মধ্যে ক্রমেই সম্পর্কের অবনতি হয়। এক সপ্তাহ আগে ওই শিক্ষকের অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে বাগ্‌দান হয়। এ কথা শুনে ওই কিশোরী গতকাল বিকেলে হাসনাবাদ এলাকায় শিক্ষককে ডেকে আনেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ছাত্রী সব ঘটনা খুলে বলে। ওই শিক্ষক তখন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে পিটুনি দিয়ে থানা-পুলিশে সোপর্দ করেন।

এ সময় ওই ছাত্রীকেও পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে ছাত্রীর মা ও স্বজনেরা থানায় আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ছাত্রীর মা।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। জনতা অভিযুক্ত শিক্ষককে ধরে থানায় দেয়। আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার আদালতে পাঠানো হবে। ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।