চাকরির সন্ধানে বেরিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়িতে

আলমগীর হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। ঢাকায় টিউশনি করানোর পাশাপাশি চাকরির চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যে বাড়িতে ফিরে তাঁকে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়। একপর্যায়ে মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।

আজ বুধবার ভোরে চাকরির সন্ধানে ঢাকায় যাওয়ার জন্য তিনি বাড়ি থেকে বের হন। পথে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ পুরাতন রেলস্টেশনে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান তিনি।

নিহত ওই যুবকের নাম আলমগীর হোসেন। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কাঁঠালবাড়ি গ্রামের মৃত আবদুল জব্বারের ছেলে। বেকার থাকা নিয়ে মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। এ ঘটনায় সান্তাহার রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল পাঁচটায় তাঁর লাশ দাফন করা হয়েছে।

রেলওয়ে পুলিশ ও আলমগীরের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ভোরে চাকরির কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন আলমগীর। আত্রাই থেকে ট্রেনে তাঁর ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। ভোরে আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ রেলস্টেশনে ঢাকা ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি নিহত হন। রেলওয়ে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে বাড়িতে খবর দিলে বেলা ১১টায় স্বজনেরা আত্রাইয়ে পৌঁছে লাশ শনাক্ত করেন।

নিহত আলমগীরের প্রতিবেশী স্কুলশিক্ষক হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আলমগীর মেধাবী ছাত্র ছিলেন। লেখাপড়া শেষ করে কয়েক দিন ঢাকায় টিউশনি করতেন। পরে বাড়িতে ফিরে আসেন। তাঁকে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়। এ সময় বেকার থাকায় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মাঝেমধ্যে অসংলগ্ন কথাবার্তাও বলতেন।

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হোসেন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, নিহত আলমগীর মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ছিলেন বলে স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।