খুলনায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ইসির (নির্বাচন কমিশন) ওপর পশ্চিমা দেশের কোনো চাপ মোটেও নেই। যেটা আছে, ওটা রাজনৈতিক সমস্যা। আমাদের সমস্যা না। আমাদের প্রতি কোনো চাপ নেই। দেশের প্রতি চাপ আছে কি না, আমি জানি না। সেটা সরকার বুঝবে, সেটা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বুঝবে।’
আহসান হাবিব আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নির্বাচন। সারা দেশের মানুষ, রাজনৈতিক দলসহ সবার চাওয়া একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। শপথ নেওয়ার পর থেকে তাঁদের অর্থাৎ নির্বাচনের কমিশনের একমাত্র লক্ষ্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া। তাঁদের আন্তরিক প্রচেষ্টা রয়েছে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আপনাদের মনে রাখতে হবে আপনারা সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা, সবাই যেন তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব শতভাগ নিরপেক্ষ হয়ে পালন করেন। কখনো দলীয় মনোভাব পোষণ করা যাবে না বা রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কখনো অতি উৎসাহী হয়ে এমন কোনো আচরণ করবেন না, যাতে আপনাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।’
আহসান হাবিব আরও বলেন, ‘আমরা একবারও বলিনি তফসিল পেছানো কথা। সব দল অংশগ্রহণ করুক, এটা আমাদের মনে-প্রাণে ইচ্ছা। তফসিল পেছানোর বিষয়ে কোনো দল আবেদন করলে আমরা আন্তরিকভাবে বিবেচনা করার চেষ্টা করব। আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে- ২৮ জানুয়ারির মধ্যে শপথ নেওয়াতে (নতুন মন্ত্রিসভার) হবে। সেই সময় থাকলে আমরা কমিশন বসে আলোচনা করব, আমাদের টাইমফ্রেমের মধ্যে যদি সম্ভব হয় অবশ্যই করব।’
মতবিনিময় সভায় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ সভাপতিত্ব করেন। সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঈনুল হক, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, বাগেরহাট ও খুলনা জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।