নরসিংদীতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

হত্যা
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চলে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার নিলক্ষ্যা ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম সোহান মিয়া (১২)। সে রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষ্যা ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার রতন মিয়ার ছেলে। স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত সোহান। যাঁর বিরুদ্ধে সোহানকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে, তাঁর নাম দুলাল মিয়া (৫০)। দুলাল একই এলাকার আবদুল আজিজ মিয়ার ছেলে। তাঁকে এরই মধ্যে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।

নিহত কিশোরের স্বজন ও স্থানীয় সূত্র বলছে, পাশের গ্রামের নানাবাড়ি থেকে গতকাল বিকেলে নিজ বাড়িতে ফিরছিল সোহান। বিকেল পাঁচটার দিকে বাড়ির কাছের সড়কে পৌঁছার পর দুলাল মিয়ার সামনে পড়ে সে। দা হাতে দুলাল সোহানকে দৌড়ানি দেন। একপর্যায়ে সোহানের গালে ও ঘাড়ে কোপ দিয়ে বসেন দুলাল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই সোহানের মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও নিলক্ষ্যা বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয় কুমার পাল ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দাসহ অভিযুক্ত দুলাল মিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। রাতেই সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ বুধবার বেলা তিনটার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে রায়পুরা থানার এসআই জয় কুমার পাল জানান, নিহত সোহানের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বাবা রতন মিয়া লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় এসেছেন। মামলা হওয়ার পরই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

নিহত সোহানের চাচা বাতেন মিয়ার ভাষ্য, সম্প্রতি স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই দুলাল মিয়াকে উদ্ভট সব আচরণ করতে দেখা যাচ্ছে। সব সময়ই সঙ্গে দা ও ছুরি রাখত। তাকে মানসিক ভারসাম্যহীনও বলা যাবে না। মানসিক ভারসাম্যহীন হলে তার দেনাপাওনা ও জমিজমার হিসাব ঠিকঠাক মনে থাকত না। কী কারণে সোহানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা বুঝতে পারছেন না বাতেন মিয়া।