নাটোরে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে যুবকের ৪৪ বছরের কারাদণ্ড

আদালতপ্রতীকী ছবি

নাটোরে এক তরুণীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে দুলাল দাস (৩৮) নামের এক যুবককে ৪৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ধর্ষণের দায়ে দুলাল দাসকে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) কারাদণ্ড এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ভুক্তভোগীকে জরিমানার মোট ৬০ হাজার টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে সাজা একটার পর একটা কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের সেরেস্তাদার শামীম আহম্মেদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রায় ঘোষণার পর দণ্ড পাওয়া আসামি দুলাল দাসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার আরেক আসামি নিজাম উদ্দিনকে খালাস দেন আদালত। রায়ের পর দণ্ড পাওয়া আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সালের ২৩ জুলাই রাত পৌনে আটটার দিকে বাগাতিপাড়া উপজেলার এক তরুণী নিজ বাড়ি থেকে পাশের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তখন আসামি দুলাল দাস ও নিজাম উদ্দিন ওই তরুণীকে অপহরণ করে একটি আখের খেতে নিয়ে যান। সেখানে নিজামের সহায়তায় দুলাল তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী তরুণীর চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে আসামিরা পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে বাগাতিপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহিম একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসে। সেখানে সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।