পাবনায় আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কার্যালয়ে গুলির ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের পিয়ারপুর এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঈশ্বরদী পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন।
মামলায় ঈশ্বরদী পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মেহেদী হাসানসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় পুলিশ উপজেলার মাঝদিয়া গ্রাম থেকে আয়েন উদ্দীন (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তাঁর দলীয় পরিচয় জানা যায়নি।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে। রাতে মামলাটি করার পর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী পিয়ারপুর এলাকায় সরকার পতন ও নির্বাচন বর্জনবিষয়ক লিফলেট বিতরণ করছিলেন। তাঁরা ওই এলাকায় থাকা ঈশ্বরদী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে গেলে কার্যালয় থেকে কয়েকজন বের হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওই এলাকা ছাড়তে বলেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর বেলা ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে করে ৩০ থেকে ৪০ যুবক আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে আসেন। কার্যালয় লক্ষ্য করে তাঁরা তিনটি গুলি ছোড়েন এবং তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় ঘটনাস্থলে পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি আবির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। গুলি ছোড়া যুবকেরা তাঁকে থাপ্পড় দিয়ে ঘটনাস্থল ছাড়েন।
আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সরকার ও নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ করতে না দেওয়ায় তাঁরাই গুলি করেছেন এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। তবে এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের কোনো যোগ নেই বলে দাবি করেন ঈশ্বরদী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মেহেদী হাসান।