তিন সেকেন্ডেই মোটরসাইকেলের তালা খুলতে পারেন তাঁরা

জয়পুরহাটে ছয়টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

জয়পুরহাটে ছয়টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল সোমবার দিন ও রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নুরে আলম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মালঞ্চা ফকিরপাড়া গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে মো. তাওসিব হাসান ওরফে নাদিম (২৪), একই উপজেলার সিতা মাতখুর গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে মিম হোসেন (২৫), বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার উৎরাইল গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৪), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের বিন্নাগাড়ী গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে সোহানুর রহমান ওরফে সোহান (২২), একই উপজেলার বাগদাপাড়া গ্রামের আলফার হোসেনের ছেলে শামিম হোসেন (২৪) ও তাঁর বাবা আলফার হোসেন (৪৮)। তাঁদের মধ্যে রবিউল ইসলাম মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সূত্রে জানা গেছে, দু–তিন মাস ধরে জয়পুরহাট জেলায় মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা বেড়ে যায়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নর্থ বেঙ্গল স্কুল কর্তৃক জয়পুরহাট সার্কিট হাউস মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠান থেকে সাদেকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির একটি টিভিএস আরটিআর ১৫০ সিসির মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় সাদেকুল ইসলামের ভাই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা করেন। এরপর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলমের নির্দেশে ডিবি পুলিশ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চোর চক্র শনাক্ত করা হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে ছয়টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম বলেন, মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা রবিউল ইসলাম। তাঁদের কাছে একাধিক ‘মাস্টার চাবি’ রয়েছে। ওই চাবি দিয়ে যেকোনো মোটরসাইকেলের তালা মাত্র তিন সেকেন্ডে খুলে ফেলতে পারেন তাঁরা। চোরাই মোটরসাইকেলগুলো তাঁরা টাঙ্গাইল, জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। তাঁদের টাঙ্গাইল ও জামালপুর জেলা থেকে চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোটরসাইকেল চোর চক্রের আরও সদস্যকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।