ইউপি নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘলি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) উপনির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাহমুদ আহম্মদকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরে তাঁকে ও নৌকার প্রার্থীর এজেন্ট মাজহারুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। আটক মাহমুদ দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন। এদিকে মাজহারুল আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সালাউদ্দিন চৌধুরীর এজেন্ট।

ইউএনও ইমরান হোসেন বলেন, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাহমুদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে একই কেন্দ্রে জোর করে অন্যের ভোট দিয়ে দেওয়ায় নৌকা প্রার্থীর এক এজেন্টকেও আটক করা হয়।

এদিকে সকাল থেকে রাজাপুর মুসলিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম জামিরতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিঘলী উচ্চবিদ্যালয় ও পূর্ব জামিরতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি তেমন ছিল না। তবে এসব কেন্দ্রে কয়কজন ভোটার অভিযোগ করেন, পথে বহিরাগতরা ভোটারদের বাধা দিচ্ছে। নৌকায় ভোট দেবে কি না, সেটা নিশ্চিত হয়ে কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া রাজাপুর মুসলিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ঘোড়া প্রতীকের এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার শিল্পী আক্তার বলেন, ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সময় নৌকার লোকজন তাঁকে বাধা দেন। পরে তিনি বাধার মুখে ভোট না দিয়ে ফিরে আসেন।
একই কেন্দ্রের ভোটার মাহমুদা খাতুন বলেন, তিনি ভোট দিতে যাওয়ার সময় কেন্দ্রের বাইরে কয়েকজন যুবক তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কোন প্রতীকে ভোট দেবেন। পরে ওই যুবকেরা তাঁকে বলেন, ‘আপনার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। আপনি চলে যান।’ পরে মাহমুদা খাতুনও ভোট না দিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

এদিকে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আলতাফ হোসেন খান দাবি করেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাউদ্দিন চৌধুরীর লোকজন তাঁকে মারধর করেছে। আলতাফ হোসেন বলেন, ‘সালাউদ্দিন চৌধুরীর ভাই জসিম ও তাঁর লোকজন আমাকে বেদম মারধর করেছে। আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে। পথে পথে ভোটারদের বাধা দিচ্ছে।’

তবে সালাউদ্দিন চৌধুরী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। কেন্দ্রে কাউকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে।