সম্পর্ক ভাঙার জেরে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ মাটিচাপা দেন

অপরাধ
প্রতীকী ছবি

নাটোরে আইনজীবীর সহকারী শাহিন শাহকে (৪০) হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন এ ঘটনায় গ্রেপ্তার নারী। নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসলেম উদ্দিন গতকাল শনিবার রাতে তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

জবানবন্দির বরাত দিয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক বলেন, গ্রেপ্তার নারীর সঙ্গে শাহিন শাহর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁদের সম্পর্কে ভাঙন দেখা দেয়। এর জেরে ওই নারী তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক তিনি বাড়ির আঙিনায় টিউবয়েল মেরামতের কথা বলে শ্রমিক দিয়ে ১০ ফুট গর্ত খনন করিয়ে রাখেন। সম্প্রতি শাহিন শাহ ওই নারীর বাড়িতে গেলে তাঁদের ঝগড়া হয়। পরে তাঁকে ঘুমের ওষুধ মেশানো দুধ পান করতে দিলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তখন তাঁকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়। পরে ছেলে আশরাফুলের সহায়তায় লাশ গর্তে মাটিচাপা দেন তাঁরা।

বড়াইগ্রাম থানা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার এক প্রবাসীর বাড়ির আঙিনার ১০ ফুট গভীর থেকে শাহিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী (৩৫) ও তাঁর কিশোর ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বিকেলে তাঁদের নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে মা ও ছেলের জবানবন্দি নেন আদালত।

শাহিন নাটোর আদালতের আইনজীবী আলী কদরের সহকারী ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার দস্তানাবাদ গ্রামের মোজাহার শাহের ছেলে। তাঁর নিখোঁজের ঘটনায় গত বুধবার তাঁর বড় ভাই আক্তার হোসেন সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। লাশ উদ্ধারের পর শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ভাই ফিরোজ শাহ বাদী হয়ে প্রবাসীর স্ত্রী ও ছেলেকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।