ভারতে রপ্তানির অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরে ১০ ট্রাক ইলিশ

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর
ফাইল ছবি

ভারতে রপ্তানির অপেক্ষায় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছে ১০ ট্রাক ইলিশ মাছ। এসব ট্রাকে পাঁচজন রপ্তানিকারকের ৪১ মেট্রিক টন ইলিশ আছে। প্রতি কেজি ইলিশ ১০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৯০ টাকা) মূল্যে রপ্তানি হচ্ছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ১ মাস ১০ দিনের মধ্যে ৭৯ জন রপ্তানিকারকের প্রত্যেককে ৫০ মেট্রিক টন করে ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রথম চালানে ৪১ দশমিক ৮ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অপেক্ষায় আছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা ভারতে পাঠিয়েছেন। ওই কাগজপত্র ফেরত এলেই ইলিশ রপ্তানি হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইলিশ রপ্তানি-সংক্রান্ত একটি অনুমতিপত্র বুধবার আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ওই পত্রে দেশের ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। সকালে অনুমতি দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের সংগ্রহে থাকা হিমায়িত ইলিশ মাছ গাড়িবোঝাই করে বেনাপোল বন্দরে পাঠিয়ে দেয়। পরে রপ্তানি-সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র বেনাপোলে এসে পৌঁছালে ইলিশ রপ্তানির কার্যক্রম শুরু হয়। ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিবছর ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেয় সরকার।

ইলিশের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট এমি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ মহিতুল হক বলেন, ‘আমি তিনজন রপ্তানিকারকের ইলিশ বেনাপোল বন্দর দিয়ে রপ্তানির জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করছি। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১০ ডলার মূল্যে ভারতে রপ্তানি করা হচ্ছে।’