চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে মারধরের পর পুলিশে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মারধরের শিকার ছাত্রলীগের সাবেক ওই নেতার নাম সামিউল আহসান। তিনি শাখা ছাত্রলীগের কমিটির উপসাহিত্য সম্পাদক পদে ছিলেন। সামিউলের সহপাঠীরা জানান, প্রথমে ছাত্রলীগে যুক্ত থাকলেও পরে ছাত্রদের আন্দোলনে সামিউল সক্রিয় ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কুমিল্লায় আন্দোলনও করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সামিউল আহসান মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। আজ তাঁর ৫০২ কোর্সের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে কয়েকজন তাঁর পথ আটকায়। পরে সেখানে এক দফা মারধর করা হয় সামিউলকে। বাধা দেওয়ায় তাঁর এক নারী সহপাঠীকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেখান থেকে সামিউলকে প্রথমে প্রক্টর অফিসে নেওয়া হয়। প্রক্টরের অনুপস্থিতিতে সেখানে তাঁকে আরেক দফা মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ সহপাঠীদের। পরে সামিউলকে হাটহাজারী থানায় নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে সামিউলের সহপাঠী জামান সাফী প্রথম আলোকে বলেন, সামিউল মারধর কিংবা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। এরপরও তাঁকে মারধর করা হয়েছে। বাধা দেওয়ায় এক নারী সহপাঠীসহ অন্য দুজনকেও মারধর করা হয়েছে। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা একটি অভিযোগ দিয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে। ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে তিনি জেনেছেন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। ছাত্রলীগের নেতার কথা শুনে উপস্থিত জনশক্তি (নেতা-কর্মী) সেখানে গিয়েছে। তবে এটি কোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত ছিল না।
বক্তব্য জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু কাওসার মোহাম্মদ হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনিও সাড়া দেননি।