ছাত্রদের ওপর হামলার মামলায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদের (ডানে) সঙ্গে গ্রেপ্তার দিব্য সরকার
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি দিব্য সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার দিব্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। গ্রেপ্তারকৃত দিব্যর সঙ্গে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও নাঈম আহমদ জানিয়েছিলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে দিব্যকে চেনেন না। দিব্য ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। এ ছাড়া এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে সাঈদ হাসান রাব্বি মহানগর ছাত্রলীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুন

গত সোমবার সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই ছাত্রের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই রাতে হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। এতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেন। পরে সোমবার রাতে প্রশাসনের আশ্বাসে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটা পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে পরের দিনও হামলাকারী ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় বিক্ষোভ এবং ক্লাস–পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা ফের হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত শনিবার হাসপাতালে রোগীর স্বজন পরিচয়ে কয়েকজন তরুণ কর্তব্যরত এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অশালীন আচরণ করেন। পরে শিক্ষনবিশ চিকিৎসকেরা তাঁদের আটক করে পুলিশের কাছে দেন। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে মেডিকেল কলেজের ফটকের পাশে দুই ছাত্রের ওপর হামলা চালানো হয়।

আরও পড়ুন

এসব ঘটনায় মেডিকেল কলেজ প্রশাসন ও হাসপাতাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট কোতোয়ালি থানায় পৃথক মামলা করা হয়। শ্লীলতাহানির চেষ্টার মামলায় একজনের এবং হামলার মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়। হামলার ঘটনায় সোমবার রাতে দুজনকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।