ডেঙ্গু মোকাবিলায় ওয়ার্ডভিত্তিক মশকনিধন দল গঠনের পরিকল্পনা আছে

ডেঙ্গুর মৌসুম চলছে। সিলেটেও ডেঙ্গুতে আক্রান্তের তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় সিলেট নগরে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে সিটি করপোরেশন। এ নিয়ে প্রথম আলো কথা বলেছে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম
ছবি : সংগৃহীত

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: সারা দেশেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। সিলেটের কী অবস্থা?

জাহিদুল ইসলাম: সিলেটে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে, তবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হননি। তাঁদের সবারই সাম্প্রতিক সময় ঢাকায় ভ্রমণের ইতিহাস আছে। সে হিসেবে বলা যায়, সিলেট এখনো নিরাপদ আছে।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করছে?

জাহিদুল ইসলাম: সিটি করপোরেশন জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজ করছে। মশার লার্ভা সংগ্রহের মাধ্যমে পরীক্ষা করে অভিযান চালাচ্ছে, যাতে এডিস মশার উপস্থিতি বোঝা যায়। মশকনিধনের জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক স্প্রে এবং ফগিং করা হচ্ছে।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: স্থানীয়ভাবে কারও ডেঙ্গু শনাক্ত হলে সিটি করপোরেশন কোনো কার্যক্রম হাতে নেবে?

জাহিদুল ইসলাম: সিটি করপোরেশন এমনিতে চারবার মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করে, এখনো করে যাচ্ছে। সিটি করপোরেশন এটিকে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মতো মশকনিধন কার্যক্রম হিসেবে নিয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত কারও তথ‌্য পাওয়া গেলে আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ির আশপাশের এলাকায় স্প্রে ও ফগার যন্ত্রের মাধ্যমে মশকনিধন কার্যক্রম চালানো হবে। 

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: এখন মশকনিধনের কী কার্যক্রম চলছে?

জাহিদুল ইসলাম: বর্তমানে সিটি করপোরেশন এলাকার পাঁচটি ওয়ার্ডে মশকনিধন কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। এর আগে গত ১৫ দিন ৫টি ওয়ার্ডে মশকনিধন কার্যক্রম চালানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডেই এই অভিযান চালানো হবে। এ কার্যক্রমে সকালে এক দফা স্প্রে দিয়ে মশকনিধন ওষুধ ছিটানো হয়। দুপুরের পর ফগার যন্ত্র দিয়ে উড়ন্ত মশকনিধনের ওষুধ ছিটানো হয়। 

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: এই কার্যক্রম আরও জোরদারের কোনো পরিকল্পনা আছে?

জাহিদুল ইসলাম: সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভায় ওয়ার্ডভিত্তিক মশকনিধন দল গঠনের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দলে পাঁচ থেকে ছয়জন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। দলটির কাজই থাকবে ওয়ার্ডভিত্তিক মশকনিধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা। দলটি একটি ওয়ার্ডের সব এলাকা সম্পর্কে ধারণা রাখবে এবং এতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে সুবিধা হবে।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: বর্তমান কর্মসূচিতে কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে?

জাহিদুল ইসলাম: ৫টি ওয়ার্ডে মশকনিধন কার্যক্রম চালাতে প্রতিদিন ৪০ জনের মতো জনবল প্রয়োজন। সেখানে এখন জনবল পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ জন। জনবলের অভাবে মশকনিধন কার্যক্রমে কিছু প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে, তবে কর্মসূ‌চি বন্ধ রাখা হচ্ছে না।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: সি‌টি করপোরেশনে নতুন যোগ হওয়া এলাকাগুলোর কী অবস্থা?

জা‌হিদুল ইসলাম: সি‌টি করপোরেশনের নতুন যোগ হওয়া এলাকাগুলোও পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। তবে কিছু এলাকায় জনবস‌তি নেই সেগুলোতে মশকনিধনের আওতায় আনা সম্ভব নয়। য‌দি সেসব এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়, ব‌্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: মশকনিধনের জন্য সিটি করপোরেশনের বাজেট কত থাকে?

জাহিদুল ইসলাম: মশকনিধনের নির্দিষ্ট বাজেট নেই। সিলেট সিটি করপোরেশনে গত অর্থবছর প্রায় এক কোটি টাকা মশকনিধন কার্যক্রমে খরচ হয়েছিল।