উখিয়া আশ্রয়শিবিরে অস্ত্রসহ পাঁচ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয়শিবিরে এপিবিএনের অভিযানে গ্রেপ্তার নবী হোসেন বাহিনীর পাঁচ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয়শিবির থেকে অস্ত্রসহ পাঁচ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। আজ রোববার ভোরে কুতুপালং (ক্যাম্প-২ পশ্চিম) আশ্রয়শিবিরের ডি-৯ ব্লকে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মিয়ানমারের মাদক চোরাচালানের অন্যতম সন্ত্রাসী গ্রুপ নবী হোসেনের বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে।

গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা হলেন কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের ডি-৯ ব্লকের বাসিন্দা কবির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (২২), সি-২ ব্লকের আবদুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৩৫), সি-৭ ব্লকের আবদুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ খলিল (৩৪), সি-২ ব্লকের মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিছ (২৮) ও এ-৬ ব্লকের সাব্বির আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ (২৫)। অভিযানের সময় গ্রেপ্তার সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিদেশি ৫টি পিস্তল, ২টি দেশি বন্দুক ও ১৮টি গুলি উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, আজ ভোররাতে কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের ডি-৯ ব্লকের একটি আস্তানায় বসে ১০-১২ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী অপরাধ ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অহিদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল সেখানে অভিযান চালান। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ ধাওয়া করে পাঁচজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও কয়েকজন পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় হত্যা, অপহরণ, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে।

আজ দুপুরে গ্রেপ্তার পাঁচজনকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশ্রয়শিবিরের কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া সবাই নবী হোসেন বাহিনীর সদস্য। নবী হোসেন মিয়ানমারের মাদক চোরাচালানের অন্যতম হোতা। কয়েক মাস ধরে নবী হোসেন আশ্রয়শিবির থেকে আত্মগোপন করে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সীমান্তে অবস্থান করছেন। দেড় বছর আগে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নবী হোসেনকে ধরে দিতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।