গণসমাবেশগুলোতে বিএনপি নেতা–কর্মীদের চেয়ে সাধারণ মানুষ বেশি ছিল: খন্দকার মোশাররফ

আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ সোমবার দুপুরে কুমিল্লা নগরের ঝাউতলা এলাকার একটি হোটেলে
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘সরকারের শত বাধাবিপত্তির পরও চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ ও রংপুরের বিভাগীয় সমাবেশ সফল হয়েছে। গণসমাবেশগুলোতে আমাদের নেতা-কর্মীদের চেয়ে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বেশি ছিল। এসব দেখে সরকারের লোকজন দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।’

আজ সোমবার দুপুরে কুমিল্লা নগরের ঝাউতলা এলাকার একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করার জন্য শ্রমিকদের পরিবহন ধর্মঘট দিতে বাধ্য করছে বলে সভায় অভিযোগ করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকার হটাতে হবে। সে জন্য দলীয় নেতা–কর্মীদের আরও সোচ্চার হতে হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদ, কুমিল্লা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, বিএনপির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম, বিএনপি–দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) এম আনোয়ারুল আজিম, মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, আবদুল গফুর ভূঁইয়া প্রমুখ।

মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, দেশের ইতিহাসে কোনো স্বৈরশাসক এমনি এমনি ক্ষমতা ছাড়েনি। আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসকদের নামানো হয়েছে। যারা মানুষ গুম-খুন করেছে, তারা আইনের শাসন ফিরিয়ে দিতে পারবে না। যারা দুর্নীতি করে ও লুটপাট করে, তারা অর্থনীতি ফিরিয়ে দিতে পারবে না। যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, তারা কখনো গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবে না। সে জন্য দেশের মানুষ জাগ্রত হয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হটাতে চাইছে। কিন্তু এ সরকার মানুষের সেই আন্দোলন নস্যাৎ করার চেষ্টায় রয়েছে।