মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উত্তরাঞ্চলের প্রথম নওগাঁয় আসেন। এ সময় তিনি নওগাঁ পৌরসভাসংলগ্ন তালতলী বিলে ঐতিহাসিক জনসভায় ভাষণ দেন। সেই স্মৃতি ধরে রাখতে নওগাঁ-দুবলহাটি সড়কের পাশে তালতলী বিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আবদুল জলিলের ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে। আজ যখন বঙ্গবন্ধুর নামেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হচ্ছে, তখন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত তালতলী বিলেই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে যৌক্তিক।
মানববন্ধনে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শোনা যাচ্ছে যে নওগাঁর সীমান্তবর্তী উপজেলা নিয়ামতপুরের ছাতড়া বিল এলাকায় নাকি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য স্থানীয় কিছু নেতা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। ওই স্থানে যাতায়াতব্যবস্থা খুবই খারাপ। এ ছাড়া সেখানে কোনো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোগান্তির শিকার হবেন। কিন্তু তালতলী বিলে বিশ্ববিদ্যালয় করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এখানে সড়ক ও রেল যোগাযোগ রয়েছে। তালতলী বিল নওগাঁ শহর থেকে দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে এবং ওই বিলের জমিগুলো এক ফসলি। যৌক্তিকভাবে বিবেচনা করলে তালতলী বিলই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উপযুক্ত জায়গা।
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় স্থান নির্ধারণ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘নওগাঁর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় একটি যৌক্তিক স্থানে করার জন্য আমরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে যেতে চাই। গুটিকয় নেতা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অযৌক্তিক কোনো স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করলে নওগাঁবাসী তা মেনে নেবে না।’
২০১৮ সালে নওগাঁয় এক জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সেখানে একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন। এর চার বছর পর ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নওগাঁয় বঙ্গবন্ধুর নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ’ বিল সংসদে পাস হয়।