শুকনা মৌসুমের শুরুতেই সিলেট নগরের চারদিক ধুলায় ধূসর

সড়কের একপাশে রয়েছে নির্মাণসামগ্রী। সেখান থেকে দিনভর উড়ছে ধুলাবালু। সোমবার সকালে সিলেট নগরের লামাবাজার-শেখঘাট সড়কে
ছবি : প্রথম আলো

সিলেটে শুকনা মৌসুম শুরুর পর থেকে ধুলার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরের বাসিন্দা ও পথচারীরা। সড়ক দিয়ে গাড়ি চললেই ধুলায় চারপাশ ঢেকে যায়। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের অধীন বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। ভাঙাচোরার কারণেও ধুলাবালু উড়ছে। বিশেষ করে নগরের কুমারপাড়া, লামাবাজার-শেখঘাট সড়ক, দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকায় এসব ভোগান্তি বেশি।

সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত বলেন, ধুলাবালুর ফলে শ্বাসকষ্টসহ শ্বাসনালির বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। এ জন্য ধুলাবালু প্রবণ এলাকা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। একান্ত সম্ভব না হলে মাস্ক ব্যবহারে এর থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নগরের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নগরের অভ্যন্তরে সারা বছর সিটি করপোরেশনের উন্নয়নমূলক কাজ চলে। এতে বর্ষার সময় জল-কাদা থাকে আবার শুকনা মৌসুম হলে ধুলাবালুর ভোগান্তি পোহাতে হয়।

খুলিয়াটুলা এলাকার বাসিন্দা কয়ছর আহমদ বলেন, কয়েক দিন আগে কুয়ারপাড় এলাকায় নর্দমার নির্মাণকাজ চলছিল। তখন সড়কটিতে পানি জমে থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। নির্মাণকাজের জন্য তাঁরা যানবাহন নিয়ে এলাকার ভেতরে যাওয়া-আসা করতে পারেননি। এখনো সড়কে নির্মাণসামগ্রী পড়ে রয়েছে। এতে সড়কে ধুলাবালু বেশি হচ্ছে। এখন মূল সড়ক লামাবাজার-শেখঘাট সড়কের পাশে কাজ চলছে। ফলে ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

কুয়ারপাড় এলাকার বাসিন্দা অজয় রায় বলেন, মহল্লার ভেতরের সড়কে নির্মাণকাজ চলায় ওসমানী মেডিকেল হয়ে ঘুরে আসা–যাওয়া করতে হয়। এখন আবার ধুলাবালুর জন্য বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে।

ধুলাবালুর কারণে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন কুমারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ সড়কে পানি ছিটালেও সেটি কিছু সময় পর আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। এলাকার এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদায় একাকার হয়ে যেত পুরো এলাকা। এখন দিন ও রাতে ধুলায় ধূসর থাকে। প্রায় ছয় মাস ধরে ব্যবসায়ীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এতে ক্রেতাদের উপস্থিতি ও বিক্রি—দুটিই কমেছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ কাজগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করার চেষ্টা করছে। ধুলাবালুর সমস্যার জন্য এলাকাগুলোয় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।