মানুষ তিন বেলা পেট ভরে খেতে পারছে, এটাই সরকারের বড় সার্থকতা: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের বহু ধনী রাষ্ট্রের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। ইংল্যান্ডে সাধারণ নাগরিকদের দিনে দুই বেলা খাওয়ার রেশনিং করে দিয়েছে সেই দেশের সরকার। অথচ বাংলাদেশের মানুষ এখনো তিন বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারছে, এটাই বর্তমান সরকারের বড় সার্থকতা।
আজ শনিবার দুপুরে নওগাঁর পোরশা উপজেলার মশিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনা মূল্যে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কারও হাতে এ দেশ নিরাপদ নয়। বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস এ দেশের মানুষকে এখনো শিহরিত করে। মানুষ সেই ভয়াবহতা আজও ভুলতে পারেনি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিয়ে আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবে।
সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে এমন কোনো পরিবার নেই, যে পরিবার সরকারের কোনো না কোনো সহযোগিতা পায় না। এ ক্ষেত্রে তিনি বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিক্ষা ভাতা, হিজড়া ভাতা, ভিজিডি ও ভিজিএফের কথা উল্লেখ করেন।
পোরশা উপজেলার ৫ হাজার ১০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে গম, ভুট্টা, শর্ষে, সূর্যমুখী, মসুর, খেসারি, চিনাবাদাম, মুগডাল, পেঁয়াজবীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, একটি কুচক্রী মহল দেশে সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সরকার তা শক্ত হাতে প্রতিরোধ করছে। চলতি আমন মৌসুমের শুরুতে সার বিতরণে অব্যবস্থাপনার কারণে কোথাও কোথাও কৃষকেরা সময়মতো সার পাননি। তবে দেশে এখন সারের কোনো সংকট নেই। বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে সারের জন্য ১৯ জন কৃষককে জীবন দিতে হয়েছিল। বর্তমান সময়ে দেশের প্রান্তিক কৃষকদের বিনা মূল্যে সার দেওয়া হচ্ছে। এটাই হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পার্থক্য।
অনুষ্ঠানে চলতি রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় পোরশা উপজেলার ৫ হাজার ১০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে গম, ভুট্টা, শর্ষে, সূর্যমুখী, মসুর, খেসারি, চিনাবাদাম, মুগডাল, পেঁয়াজবীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল হাইয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার প্রমুখ।