সিলেটে ১৪ ট্রাক চোরাই চিনি জব্দ করার ঘটনায় মামলা, আসামি অজ্ঞাতনামা

সিলেট সদর উপজেলার উমাইরগাঁও এলাকার ভাদেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে চিনিবোঝাই ট্রাকগুলো জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেছবি: প্রথম আলো

সিলেটে চোরাই পথে আসা চিনিভর্তি ১৪টি ট্রাক জব্দ করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার পুলিশ বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেছে।

মামলার বাদী সিলেটের জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাহ্ উদ্দিন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। আজ বেলা তিনটা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এ সম্পর্কে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, আটক করা ১৪টি ট্রাকে অন্তত ২৮ জন এবং মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার মিলিয়ে ৩৫ জনের মতো ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মামলায় অজ্ঞাত আসামিদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। তদন্তের পর আসামিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

জালালাবাদ থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে সিলেট সদর উপজেলার উমাইরগাঁও এলাকার ভাদেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ভারত থেকে চোরাই পথে আসা চিনিভর্তি ১৪টি ট্রাক আটক করা হয়। এ সময় একটি প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যান চোরাকারবারীরা।

পুলিশ জানায়, আটক করা ১৪টি ট্রাকে ২ হাজার ১১৪ বস্তা ভারতীয় চিনি ছিল। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৬৯ লাখ ১২ হাজার টাকা।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, চিনি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সিলেট মহানগর যুবলীগের এক নেতা। ওই নেতা চিনিবোঝাই ট্রাক পরিবহনের দায়িত্বে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ফাঁড়ি পথে উমাইরগাঁও এলাকা দিয়ে আনা হয়েছিল। এই চালান সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক হয়ে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল চোরাকারবারীদের।

সিলেটের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জব্দ করা যানবাহনগুলোর মালিকদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত।