সাফজয়ী নিলুফার বাড়ির উঠানে ফেলা হলো বালু, পরিষ্কার করা হচ্ছে পথ

মূল সড়ক থেকে নিলুফার বাড়ি পর্যন্ত যাওয়ার পথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া পৌরসভার বর্ধিত জুগিয়া সবজি ফার্মপাড়ায়
ছবি: প্রথম আলো

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী দলের সদস্য কুষ্টিয়ার মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন নিলা এখন ঢাকায়। গতকাল দুপুরে শিরোপাজয়ী দলটি দেশে ফিরেছে। এখন ছুটি পেলেই নিলুফা বাড়ি ফিরবেন। আর মেয়ের জন্য পথ চেয়ে আছেন মা বাছিরন আক্তার। নিলুফার ছোট বোন সুরভী আক্তারেরও যেন তর সইছে না।

চ্যাম্পিয়ন নিলুফার বাড়ি ফেরার আনন্দ ছুঁয়েছে এলাকাবাসীকেও। তাই মূল সড়ক থেকে নিলুফার বাড়ি পর্যন্ত যাওয়ার পথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। কুষ্টিয়া পৌরসভার স্থানীয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শাহিন উদ্দীন তাঁর ব্যক্তিগত খরচে শ্রমিক দিয়ে এ কাজ করাচ্ছেন।

আরও পড়ুন

কুষ্টিয়া পৌরসভার বর্ধিত জুগিয়া সবজি ফার্মপাড়ায় নিলুফার বাড়ি। শহরের ভেতর হলেও ওই এলাকায় এখনো গ্রামীণ পরিবেশ। প্রধান সড়ক থেকে হেঁটে প্রায় ৫০০ গজ গিয়ে নিলুফার বাড়ি। পুরো পথে ইট বিছানো। তবে বৃষ্টির পানিতে শেওলা ও ঘাস জমে ছিল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, শ্রমিকেরা সেগুলো ঘষেমেজে পরিষ্কার করছেন।

গত মঙ্গলবার সকালে নিলুফাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্যানেল মেয়র শাহিন উদ্দীন। নিলুফার মা ও বোনের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। কোনো সমস্যা আছে কি না, খোঁজখবর নেন। এ সময় নিলুফার বাড়ির উঠানে পানি জমে থাকতে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর গতকাল বুধবার বিকেল থেকেই নিলুফার বাড়ির উঠানে বালু ফেলা শুরু হয়। এর আগে নালা কেটে পানি বের করে নেওয়া হয়। বালু ফেলে উঠান উঁচু করা হয়।

গতকাল বুধবার বিকেলে নিলুফার বাড়ির উঠানে বালু ফেলে উঁচু করা হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

সড়ক পরিষ্কারের কাজ করছিলেন শ্রমিক আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ফুটবল খেলায় জিতে আসা নিলুফার বাড়িতে বালু ফেলা হয়েছে। এখন রাস্তা পরিষ্কার করা হচ্ছে। নিলুফা বাড়ি আসবে—এ জন্য সবকিছু চকচকে করা হচ্ছে।’

নিলুফার মা বাছিরন আক্তার বলেন, ‘নিলুফা এখন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনেই আছে। এখনো ছুটি পায়নি। রাতে কথা হয়েছে। ছুটি পেলেই বাড়িতে আসবে। এখন মন ছটফট করছে। কাউন্সিলর বাড়ির উঠানে বালু ফেলে দিয়েছেন। নিলুফার বাড়ির আসার পথও পরিষ্কার করেছেন। খুবই ভালো লাগছে।’

শাহিন উদ্দীন বলেন, সাফজয়ী নিলুফা এই এলাকার গর্ব। তিনি বাড়িতে এলে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তাঁকে নিয়ে আনন্দ উৎসব করা হবে।