মুরগির খোপ থেকে অজগর উদ্ধার, পরে সুন্দরবনে অবমুক্ত
খুলনার কয়রা উপজেলার সুন্দরবন-সংলগ্ন লোকালয় থেকে প্রায় আট ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ উদ্ধার হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার মঠবাড়ি গ্রামের আতিয়ার গাজীর বাড়ির মুরগির খোপ থেকে সাপটি উদ্ধার করে ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআরটি) ও বন বিভাগের সদস্যরা।
নিম্নচাপের প্রভাবে উঁচু জোয়ারে সুন্দরবন প্লাবিত হওয়ায় খাবারের সন্ধানে অজগরটি বন ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসে বলে ধারণা বন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। উদ্ধারের পর অজগরটি সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনের আওতাধীন বষ্টুমখালী খাল–সংলগ্ন বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হয়েছে।
অজগরটি খোপের একটি মুরগি খাওয়ার পর আরেকটি মুরগি পেঁচিয়ে ধরেছিল জানিয়ে মঠবাড়ি গ্রামের আতিয়ার গাজী বলেন, ‘সকালে খোপ থেকে মুরগির অস্বাভাবিক ডাকাডাকি শুনে খোপের মধ্যে উঁকি মেরে দেখি একটি বিশাল অজগর। ভয়ে দূরে সরে গিয়ে বন বিভাগকে খবর দিই। তারা এসে সাপটিকে ধরে নিয়ে যায়। অজগরটি মনে হয় বাড়ির পাশের সুন্দরবনের নদী সাঁতরে চলে এসেছিল।’
বন বিভাগের ভিটিআরটি সদস্য ইয়াসিন আলী বলেন, মঠবাড়ি গ্রামের পাশের একটি ছোট নদী পেরোলেই সুন্দরবনের গহিন জঙ্গল। আজ সকাল সাতটার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জঙ্গল থেকে লোকালয়ে সাপ আসার খবর দেন। পরে গিয়ে দেখেন, মুরগির খোপের মধ্যে ফোঁস ফোঁস শব্দ হচ্ছে। দুটি মুরগি খেয়ে ফেলেছিল সাপটি। খোপের মধ্যে থেকে সাপটি উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বন বিভাগের কাশিয়াবাদ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। বেলা ১১টার দিকে অজগরটিকে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়।
সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, লোকালয়ের বাড়িঘরে ঢুকে সহজেই অজগর হাঁস-মুরগি ধরে খেতে পারে। এ জন্য খাবারের সন্ধানে বা উপযুক্ত পরিবেশের খোঁজে অজগরটি বনাঞ্চল ছেড়ে লোকালয়ে চলে এসেছিল বলে ধারণা করছেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, বন্য প্রাণী হত্যা না করতে প্রচার-প্রচারণা করায় মানুষ সচেতন হচ্ছে। এখন আর সাপ দেখলে পিটিয়ে না মেরে উদ্ধারের জন্য জানাচ্ছেন। আজকে উদ্ধার হওয়া অজগরটিও এ জন্য রক্ষা পেয়েছে।