নোয়াখালী-৪ আসন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য চরজব্বর থানার ওসির প্রত্যাহার চাইলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী
নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিন পক্ষপাতমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামের প্রত্যাহার দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ওসিকে প্রত্যাহার না করা হলে সুবর্ণচরে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। তিনি এ বিষয়ে আজই জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেবেন।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা শহর মাইজদীর নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিহাব উদ্দিন শাহিন এই অভিযোগ করেন। নির্বাচনী প্রচারণায় সংশ্লিষ্ট কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, প্রচার-প্রচারণায় বাধা, কার্যালয় ভাঙচুর, বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ এবং নৌকার প্রার্থীর বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাহের, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন যে দলের প্রার্থীর পাশাপাশি দলের নেতাদের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে দলের কোনো আপত্তি থাকবে না। এ কারণে স্থানীয় নেতা ও সাধারণ ভোটারদের চাপের মুখে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
শিহাব উদ্দিন শাহিন অভিযোগ করেন, তৃণমূল পর্যায়ে তাঁর পক্ষে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিচ্ছেন। এ কারণে নৌকার প্রার্থীর লোকজন বিভিন্ন এলাকায় তাঁর কর্মীদের নানা হুমকিধমকি দেওয়া শুরু করেন। তাঁরা এরই মধ্যে সুবর্ণচরে তাঁর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিনের বাড়িতে হামলা এবং ফটকে অগ্নিসংযোগ করেছেন। এ ছাড়া তাঁর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব আবু নাছেরের বাড়িতে ককটেল হামলা, সুবর্ণচরে কর্মী তারেক মাসুদকে তুলে নিয়ে নির্যাতন, সদরের নোয়ান্নইতে নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও নেয়াজপুরে গণসংযোগে হামলা চালিয়েছেন। এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন নৌকার প্রার্থী।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ, একাধিক নির্বাচনী অপরাধের বিষয়ে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) লিখিত এজাহার দেওয়ার পরও তিনি মামলা রেকর্ড করে কোনো আসামিকে ধরেননি। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অবিলম্বে ওই ওসিকে প্রত্যাহার করতে হবে। এ বিষয়ে আজই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান শিহাব উদ্দিন।
জানতে চাইলে চরজব্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি আইনের মধ্য থেকে যাকে যতটুকু আইনি সহায়তা দেওয়ার, ততটুকুই দিচ্ছেন। কারও প্রতি কোনো রকম পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন না।
শিহাব উদ্দিনের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য নোয়াখালী ৪ আসনের নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।