চট্টগ্রামের সরকারি ১০ স্কুলে চাপ বেশি, প্রতি আসনের জন্য আবেদন ৫৭টি

চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল
ফাইল ছবি

সারা দেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি আবেদন শেষ হয়েছে গত শনিবার। চট্টগ্রামে ১০টি সরকারি বিদ্যালয়ে প্রায় আড়াই হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে এক লাখের বেশি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখার তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ১০টি বিদ্যালয়ে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণিতে শূন্য আসনের সংখ্যা ২ হাজার ৪২৪টি। এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেণিতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি শূন্য আসন। ১০টি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে মোট ১ হাজার ৫৪৫টি শূন্য আসন রয়েছে। এ ছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৫০০টি, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে ১০টি করে ও নবম শ্রেণিতে ৩৫৯টি শূন্য আসন রয়েছে।

এই ১০ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের তথ্য অনুযায়ী, ১০টি সরকারি বিদ্যালয়ে আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৬৪টি। অর্থাৎ প্রতি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৫৭টি।

সংখ্যা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য এই বিদ্যালয়ে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণিতে শূন্য আসন রয়েছে। প্রভাতি ও দিবা শাখায় মোট ৩৫৯টি শূন্য আসনে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। আর এর বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২৩ হাজার ৯২০টি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, সব মিলিয়ে ২৩ হাজার ৯২০টি আবেদন জমা পড়েছে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে তাদের শূন্য আসনগুলোতে ভর্তি করা হবে।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ২৭৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২০ হাজার ৭৬৩টি, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ৩৫৫টির বিপরীতে ১৯ হাজার ৩৯১টি, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ২৩৪টির বিপরীতে ১৮ হাজার ৮৮৮টি, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ২৩৯টির বিপরীতে ১৮ হাজার ৩৭৭টি। অন্যদিকে বাকলিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ৩৫৭টির বিপরীতে ১৬ হাজার ৩৬০টি, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ২৩৯টি আসনের বিপরীতে ৮ হাজার ৭২টি, সিটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ২৩৮টির বিপরীতে ৫ হাজার ৯২৩টি এবং চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১০টি শূন্য আসনের বিপরীতে ২ হাজার ৪৮১টি আবেদন জমা পড়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক ও মহানগর ও জেলা সদর উপজেলার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছিল ২৪ অক্টোবর। প্রথমে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় থাকলেও পরে ১৮ নভেম্বর করা পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

প্রতিবারই বছরের শেষ সময়ে এসে পরবর্তী বছরের ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভর্তি শেষে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোয় সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে একই প্রক্রিয়ায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সাদি উর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পেরেছে। জেলা পর্যায়ে কোনো লটারি হবে না। কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় নির্ধারণ করা হবে।