পাবনায় প্লাস্টিকের প্রতীকী দানব ভাস্কর্য উন্মোচন

প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে প্রতীকী দানব ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। সোমবার পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভা চত্বরে
ছবি: হাসান মাহমুদ

প্লাস্টিক বর্জ্যের ভয়াবহতা বোঝাতে ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পাবনার ঈশ্বরদীতে প্লাস্টিকের প্রতীকী দানব ভাস্কর্য উন্মোচন করা হয়েছে। ঈশ্বরদী পৌরসভা চত্বরে কয়েকটি ভাস্কর্য তৈরি করেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা রোসাটম। ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রোসাটমের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে ভাস্কর্যগুলো উন্মোচন করা হয়।

এর আগে সকালে ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া এম এম স্কুলমাঠে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্যের ভয়াবহতা তুলে ধরে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ও রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খন্দকার আরিফুজ্জামান, রাশিয়ার একটি পারমাণবিক সংস্থার কর্মকর্তা নিনা দেমেন্তসোভা, রাশিয়ার সংস্থা এনার্জি অব দ্য ফিউচারের উপমহাপরিচালক আলেক্সান্ডার বেয়বেকভ ও রোসাটমের সাউথ এশিয়া অঞ্চলের জনসংযোগ ব্যবস্থাপক সেনিয়া ইয়েলকিনা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৪৯ টন প্লাস্টিক বর্জ্য সৃষ্টি হয়। এই বর্জ্য সঠিকভাবে অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা না করায় পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। তাই প্লাস্টিক বর্জ্য বিষয়ে এখনই সচেতন না হলে পৃথিবীতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খন্দকার আরিফুজ্জামান বলেন, ‘প্লাস্টিক একটি ভয়াবহ বর্জ্য। যা পরিবেশ ও জলবায়ুতে ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করছে। একটু সচেতনতা এই প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। যেখানে সেখানে এই বর্জ্য ফেলা থেকে বিরত থাকলেই আমরা অনেকটা রক্ষা পেতে পারি।’

আলোচনা পর্ব শেষে অতিথিরা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করেন। পরে ঈশ্বরদী পৌরসভা চত্বরে প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি প্রতীকী দানব ভাস্কর্যগুলো উন্মোচন করা হয়।

রোসাটমের কর্মীরা বলেন, দিনে দিনে প্লাস্টিক বর্জ্য দানবে রূপ নিচ্ছে। এই দানব বড় হয়ে উঠছে। এখনই প্রতিহত না করা হলে এই দানব আরও বড় হয়ে উঠবে এবং পৃথিবী গিলে খাবে। এসব ভাস্কর্যের মাধ্যমে এমনই বিষয় বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এটি দেখে মানুষ কিছুটা হলেও সচেতন হবেন বলে তাঁরা মনে করছেন।