বিএনপির কার্যালয়ে হামলা মামলার আসামির কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা নিলেন বিএনপি নেতারা
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা মামলার আসামির কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা নিয়েছেন যশোরের শার্শা উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান। একই মঞ্চে ফুলেল শুভেচ্ছা নেন কমিটির সভাপতি আবুল হাসান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম।
গতকাল শনিবার বিকেলে শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নে সজনের ভেড়ি নামক স্থানে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির পিকনিক অনুষ্ঠানে এই ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন তাঁরা। মামলার আসামি মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন গাজী বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের নেতা-কর্মীদের ওপরে লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলি ছোড়া হয়। ৭০-৮০ জন পুলিশ সদস্য এই হামলা চালান। এতে বিএনপির কয়েক শ নেতা-কর্মী আহত হন। আটক করা হয় বিএনপির অন্তত ৪০০ নেতা-কর্মীকে।
ওই ঘটনায় ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নয়াপল্টন ভিআইপি সড়কের বাসিন্দা মাহফুজার রহমান বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের নাম-পরিচয় উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজিম উদ্দীন গাজী ওই মামলায় ১৩১ নম্বর আসামি।
বিএনপি কার্যালয়ে হামলা মামলার আসামির কাছ থেকে ফুল নেওয়ার বিষয়ে জানতে শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুজ্জামানের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক কোনো অনুষ্ঠান না। বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি নামে একটি ব্যবসায়িক সংগঠনের পিকনিক অনুষ্ঠানে আমাদের তিনজনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। আমরা তিনজনই ওই সমিতির সদস্য। বিএনপির কমিটিতে পদ পাওয়ায় সংগঠনের সদস্য হিসেবে আমাদের এই সম্মাননা জানানো হয়েছে। তা ছাড়া আজিম উদ্দীন গাজীর বিরুদ্ধে ঢাকায় কোনো মামলা আছে কি না, তা আমাদের জানা ছিল না।’
জানতে চাইলে আজিম উদ্দীন গাজী বলেন, ‘মামলায় যে সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তখন আমি ঢাকাতেই ছিলাম না। বেনাপোলে অবস্থান করছিলাম। তারপরও আমি কেমনে বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে হামলা করলাম, বুঝতে পারছি না। আমি মামলা–বাণিজ্যের শিকার হয়েছি। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’