সম্মেলনের প্রায় ১০ মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন

নেত্রকোনা জেলার মানচিত্র

সম্মেলনের প্রায় ১০ মাস পর নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের ১০৪ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই কমিটির অনুমোদন দেন। তবে কমিটি অনুমোদন করা হলেও বিষয়টি গোপন রাখা হয়। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে কমিটির তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় গত ২৯ নভেম্বর। শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের শুধু জেলা কমিটির নতুন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. শামছুর রহমানের নাম ঘোষণা করেন।

কমিটির উপদেষ্টা সদস্য ২৯ জন, সহসভাপতি ১১ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৩ জন, অন্য পদে আছেন ২৩ জন ও সদস্য ৩৬ জন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি আমিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে শামছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে গত সোমবার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতেই কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে আছেন নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য মানু মজুমদার, নেত্রকোনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর কাদের কোরাইশী, নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান, নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম খান, সাবেক সহসভাপতি হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর খান, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায়, সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মৃণাল কান্তি রায়, সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক মো. শহিদুল্লা, কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা চন্দন বিশ্বাস ও আনোয়ার জাহান অঞ্জন।

যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে আছেন জেলা কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ভজন সরকার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মজিবর আলম এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মারুফ হাসান খান।

কমিটিতে আইনবিষয়ক সম্পাদক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি রাসেল আহম্মেদ খান, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক শামছুর আলম চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাফুজুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাবেক প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক সাবেক সদস্য মো. আবদুল কাইয়ুম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ার জাহান, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সারোয়ার মোর্শেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ বজলুর রশিদ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সংরক্ষিত মহিলা আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল ইসলাম, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম সাহা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক চক্ষুচিকিৎসক পলাশ মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ার রনি, রেজাউল হাফিজ, জামিউল ইসলাম খান, উপদপ্তর সম্পাদক শাকিল হাসান, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তুহিন আক্তার ও কোষাধ্যক্ষ উজ্জ্বল সাহা।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান, নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীর প্রতীক), সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান, অধ্যাপক অপু উকিল, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য জাকিয়া পারভিন, আবুল মনসুর আহম্মেদ, অধ্যাপক ওমর ফারুক, নজরুল ইসলাম ফকির, দীপক ধর গুপ্ত, মাজহারুল ইসলাম, গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান, মোস্তাফিজুর রহমান, তোফায়েল আহম্মেদ, সাইফুল্লাহ এমরান, আলমগীর হাসান, শাহ মোস্তফা আলমগীর, দীপায়ন সরকার, ফয়জুর মোর্শেদ খান, বাসেদ খসরু, আরিফ খান, দেওয়ান জনি, আবু সাঈদ খান, তুহিন আহাম্মেদ খান, মৃদুল চৌধুরী, কামরুজ্জামান ফারাস, গাজী কামাল, ইফতেকার উদ্দিন, চপল দত্ত, সানোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, খোরশেদ আলম, ফয়সাল লাল, কবিরুল ইসলাম, অধ্যাপক মানিক রায়, আবু রেজা মোহাম্মদ মাহবুব, আল আমিন ভূঁইয়া ও রাজ্জাক সরকার।

জাতীয় কমিটির সদস্য করা হয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রতিরোধযোদ্ধা অসিত সরকারকে।

২৯ জন উপদেষ্টা হলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল নূর খান, সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহম্মেদ, সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস, ওবায়দুল হক, আবদুল খালেক, হাফিজুর রহমান, গোলাম রসুল তালুকদার, শাজাহান চৌধুরী, মো. লিয়াকত আলী তালুকদার, শাহ মাহবুব মোর্শেদ, শামীম খান, আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক ব্রজেন্দ্র সরকার, হাজী জয়নাল, কাজী আবদুল ওয়াহেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন, আলী আজগর খান পাঠান, ফরিদ আহম্মেদ খান, ওসমান গনি, সুধাংশু বিকাশ আচার্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, খুরশেদ মিয়া, রাজ্জাক সরকার, আইয়ুব আলী, শামসুল কবির খান, মিজানুর রহমান, পুষ্পেন্দু দত্ত রায় ও শফিকুল ইসলাম।