নাটোর জেলার মানচিত্র
প্রথম আলো

নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভার আনন্দনগর মহল্লার কৃষক সৈয়দ আলীর নাতনি রাবেয়াকে (১২) গত সোমবার একটি সাপ কামড় দেয়। চিকিৎসার পর বিষমুক্ত হয় ওই শিশু। পরে শোবার ঘরের মেঝেতে একটি সাপের ডিমের খোসা দেখে পরিবারসহ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সৈয়দ আলী।

গতকাল বুধবার বিকেলে সৈয়দ আলীর স্ত্রী ঘরের মেঝে ঝাড়ু দিতে গিয়ে সাপের একটি বাচ্চা দেখে চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় ঘরের মেঝে খুঁড়ে মাসহ একে একে ২৩টি গোখরার বাচ্চা পাওয়া যায়। সব কটিকে পরে মেরে ফেলা হয়।

ওই মহল্লার কলেজশিক্ষক সাজেদুর রহমান জানান, সৈয়দ আলীর নাতনিকে সাপে কামড় দেওয়ার পর থেকেই পরিবারটির আতঙ্কে দিন কাটছিল। সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে ঘরে কার্বলিক অ্যাসিড রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এরই মধ্যে গতকাল মেঝে খুঁড়ে মাসহ সাপের বাচ্চাগুলো পাওয়া যায়। সাপগুলো হত্যার পর মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর ওই পরিবারসহ আশপাশের মানুষগুলো সাপ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বন্য প্রাণী ও পরিবেশ আইনে সাপ মারা অপরাধ। কোথাও সাপ দেখা গেলে স্থানীয় পরিবেশকর্মী কিংবা বন বিভাগকে জানালে তারা উদ্ধার করে যথাস্থানে অবমুক্ত করা যেত।