পরিবারের ভাগ্য ফেরাতে সৌদিতে পৌঁছানোর পরদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

পরিবারের ভাগ্য ফেরাতে অনেক চেষ্টার পর সৌদি আরবে গিয়েছিলেন ২১ বছরের তরুণ আবদুল কাদের জিলানী ওরফে মোহন। সৌদি সময় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মদিনা শহরে পৌঁছান তিনি। আর গতকাল বুধবার দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তিনি। মদিনা শহর থেকে ইয়ানবু শহরে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

নিহত আবদুল কাদের জিলানীর বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের নেওয়াজপুর গ্রামে। ওই গ্রামের খায়েজ আহমদ চৌধুরীর বড় ছেলে তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছানোর পরই তাঁর মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। পরিবারে চলছে মাতম। ঘটনা শোনার পর গ্রামের মানুষ ভিড় করছেন বাড়িটিতে। তাঁরাও চোখের জল ফেলছেন।

স্বজনেরা জানান, সৌদি আরব যাওয়ার আগে গ্রামের বন্ধুবান্ধবসহ যাঁকেই সামনে পেয়েছিলেন, সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন কাদের। কে জানত, এভাবে তাঁকে হারাতে হবে।

ছেলের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন বাবা খায়েজ আহমদ।

বাবা খায়েজ আহমদ বলেন, ‘ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, সেখানে যাওয়ার পরদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় আমার বড় ছেলে মোহন মারা গেছে। তার স্বপ্ন ছিল সৌদি আরব যাবে। সেখানে গিয়ে কিছু একটা করবে। ছোট ভাইবোনকে ভালো পড়ালেখা করাবে। কিন্তু সব স্বপ্ন তার নিমেষেই শেষ হয়ে গেল।’

খায়েজ আহমদ জানান, কাদের চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। ছোট বোন আলিম পরীক্ষার্থী, ছোট বোন অষ্টম শ্রেণি এবং ছোট ভাই ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। তাঁর ছেলের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

স্থানীয় জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ বলেন, ছেলেটি খুবই নম্র-ভদ্র ছিল। তাঁর মৃত্যুর খবরে তিনি মর্মাহত। তাঁর লাশ দেশে আনতে সৌদিপ্রবাসী তাঁর এলাকার লোকজনের সহযোগিতা চাইবেন। তিনি নিজেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন।