নিখোঁজের পাঁচ দিন পর মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার

নিহত তরুণের লাশ উদ্ধার করার পর আহাজারি শুরু করেন স্বজনেরা। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার আর কে টেক্সটাইল কারখানায় বুধবার
ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা থেকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর মাটি খুঁড়ে এক নিরাপত্তা প্রহরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের রংপুর-নগরবাড়ী মহাসড়কের তালগাছী এলাকায় আর কে টেক্সটাইল কারখানার ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

ওই প্রহরীর নাম ফেরদৌস আলী (১৮)। তিনি একই ইউনিয়নের মশিপুর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। তিনি ওই কারখানায় নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে দেড় বছর ধরে কাজ করছিলেন।

থানার পুলিশ ও নিহত ফেরদৌসের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আর কে টেক্সটাইল কারখানায় কাজে যান ফেরদৌস। শনিবার সকালে বাড়িতে ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন কারখানায় গিয়ে তাঁকে খোঁজেন। সেখানেও ফেরদৌসকে না পেয়ে তাঁরা থানায় একটি ডায়েরি করেন।

পরবর্তী সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মামুন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত মামুন (৩০) ওই উপজেলার ঘোড়শাল গ্রামের বাসিন্দা। মামুনের দেওয়া তথ্যমতে আর কে টেক্সটাইলের ভেতরে মাটিচাপা দিয়ে রাখা ফেরদৌসের লাশ উদ্ধার করা হয়।

মামুন পুলিশকে বলেন, শুক্রবার রাতে তিনি কারখানায় চুরি করতে আসেন। সে সময় ফেরদৌস তাঁকে ধরে ফেলেন। একপর্যায়ে মামুন ফেরদৌসের মাথায় আঘাত করলে তিনি আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান। এরপর মামুন আহত ফেরদৌসের মুখে কম্বল ঠেসে ধরেন। একপর্যায়ে ফেরদৌসের মৃত্যু হয়। এরপর মামুন নিহত ফেরদৌসের লাশ মাটিতে পুঁতে রেখে তাঁর মুঠোফোনটি নিয়ে চলে যান।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মামলার প্রস্তুতি চলছে।