ভিজিএফের স্লিপ না পেয়ে ইউপি সদস্যকে মারধর, অভিযোগ ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে

লালমনিরহাটে ইউপি সদস্যকে মারধর করার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন চেয়ারম্যান ও অন্য ইউপিরা। গতকাল মঙ্গলবার মহেন্দ্রনগর ইউপি কার্যালয়ের সামনেছবি: প্রথম আলো

লালমনিরহাটে ঈদ উপলক্ষে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ভিজিএফের স্লিপ না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকে মারধর করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মহেন্দ্রনগর ইউপি কার্যালয়ে এ ঘটনায় ঘটে।

ভুক্তভোগী এরশাদুল হক (৩৭) মহেন্দ্রনগর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ঘটনায় তিনি আজ বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ভিজিএফের স্লিপ না পেয়ে মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন চন্দ্র রায় (২৭) ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (২৬) তাঁকে মারধর করেছেন। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ভিজিএফের স্লিপের মধ্য থেকে ৫০টি স্লিপ দাবি করে আসছিলেন সুমন চন্দ্র রায় ও আবুল কালাম আজাদ। ওই স্লিপ না দেওয়ার জন্য ওই দুজন এরশাদুলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুমন চন্দ্র রায় ও আবুল কালাম আজাদ মহেন্দ্রনগর ইউপি কার্যালয়ে আসেন। কার্যালয় চত্বরের গোল ঘরে এরশাদুল হককে দেখতে পেয়ে তাঁরা মারধর করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বেলা দেড়টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ইউপি কার্যালয়ের সামনে চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ মণ্ডলসহ ১১ জন সদস্য সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সড়কের দুই দিকে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান সেখানে যান এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ভুক্তভোগী ইউপি সদস্যকে সব রকমের সহায়তার আশ্বাস দেন। পরে তাঁরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন।

চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ মণ্ডল বলেন, ‘ইউপি সদস্য এরশাদুল হক আওয়ামী লীগের নেতা। হামলাকারী দুজন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তাঁরা দিনের বেলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এসে এরশাদুল হককে মারপিট করে আহত করেছেন। এটা বিব্রতকর ও দুঃখজনকই। একই সঙ্গে নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। আমি ঘটনার সঠিক ও কঠিন বিচার দাবি করছি।’  

এ বিষয়ে জানতে আজ বিকেলে সুমন চন্দ্র রায়ের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি। আর আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁরও ভাষ্য পাওয়া যায়নি।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, ইউপি সদস্য এরশাদুল হক দুজনের বিরুদ্ধে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।