মধ্যরাতে হলে সাপ দেখে আতঙ্কিত ছাত্রীরা রাস্তায়

মধ্যরাতে সাপের আতঙ্কে রাস্তায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অবস্থান। গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীরা গতকাল রোববার মধ্যরাতে হলের দুটি তলায় সাপ দেখে আতঙ্কে বাইরের রাস্তায় চলে যান। দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা হলের বাইরের সড়কে অবস্থান করেন তাঁরা। পরে হলের প্রাধক্ষ্যসহ কর্মকর্তারা এসে হলে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর আশ্বাস দিলে ছাত্রীরা হলে ফিরে যান। ছাত্রীরা হলে সাপের উপদ্রব বন্ধে প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন।

হলের একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই সপ্তাহ আগে হলের তৃতীয় তলায় একটি সাপ দেখা যায়। এরপর সপ্তাহখানেক আগে আরও দুটি সাপ ধরা পড়ে এবং সেগুলো মেরে ফেলা হয়। সর্বশেষ গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তৃতীয় তলায় একটি ও নিচতলায় একটি সাপ দেখা যায়। এতে হলের ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক ছাত্রী বলেন, গতকাল রাতে যখন সাপ দেখা যায়, তখন ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ ছিল না। এ জন্য ছাত্রীদের মধ্যে আরও বেশি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাপের ভয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন ছাত্রীরা। অনেক ছাত্রী ভয়ে হল থেকে বেরিয়ে হলের পাশের সড়কে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে হলের প্রাধক্ষ্য মোহাম্মদ মহিনুজ্জামানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে দ্রুত সময়ের মধ্যে হলের ভেতর ও বাইরের জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার আশ্বাস দিলে ছাত্রীরা হলে ফিরে যান।

ছাত্রীদের অভিযোগ, প্রথম দফায় সাপ দেখার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ জন্য সাপের উপদ্রব বেড়েছে।

হল প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে মোট ৬০০ ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা আছে। বর্তমানে হলে তিন শতাধিক ছাত্রী আছেন। এর মধ্যে গতকাল রাতে সাপের আতঙ্কে শতাধিক ছাত্রী হলের বাইরে অবস্থান নেন।

ছাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধক্ষ্য মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, প্রথমবার সাপ দেখা দেওয়ার পরই তাঁরা হলের আশপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করেছেন। এখন মনে হচ্ছে, হলের ভেতরে কোথাও সাপের আস্তানা আছে। আজ পুরো হল পরিষ্কার করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁরা ইতিমধ্যে ধরা পড়া সাপের ছবি প্রাণিবিশেষজ্ঞের কাছে পাঠিয়ে জেনেছেন, এগুলো বিষধর সাপ নয়। এসব সাপকে ‘ঘরকুনো সাপ’ বলা হয়।