ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাক কারখানার শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে (২৭) পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার সময় তাঁর মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যান মো. এরশাদ (২৭) নামের এক নির্মাণশ্রমিক। আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে দীপু দাসের মুঠোফোনটিসহ এরশাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার এরশাদ নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের নেহারা জয়পুর গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে। ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ডুবালিয়াপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এরশাদ ডুবালিয়াপাড়া এলাকায় থেকে আশপাশের এলাকায় রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড কারখানার সামনে উত্তেজনা দেখে সেখানে যোগ দেন। কারখানার ভেতর থেকে দীপু দাসকে বের করে মারধরেও অংশ নেন। ওই সময় দীপুকে মারধর শুরু হলে পকেট থেকে তাঁর মুঠোফোনটি পড়ে গেলে এরশাদ সেটি নিয়ে নেন। ঘটনার পর থেকে দীপুর মুঠোফোনটি না পাওয়ায় প্রযুক্তির সহায়তায় মুঠোফোনটির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আজ বিকেলে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযানে যায়। ওই সময় এরশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এরশাদ ঘটনার শুরু থেকেই ছিল। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ডুবালিয়াপাড়া এলাকায় ১৮ ডিসেম্বর রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড কারখানার কর্মী দীপু চন্দ্র দাসকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে কারখানা থেকে এক কিলোমিটার দূরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় সড়ক বিভাজকের একটি গাছে ঝুলিয়ে মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
নিহত দীপু চন্দ্র দাস তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মোকামিয়াকান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। এ ঘটনায় তাঁর ভাই অপু চন্দ্র দাস অজ্ঞাতপরিচয় ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।