যশোরের কেশবপুর
ময়লা ফেলে হরিহর নদ ভরাট, পরিবেশদূষণ
এ নদ দিয়ে কেশবপুর শহরসহ এলাকার পানিনিষ্কাশিত হয়। পলি জমে নদ ভরাট হয়ে গেছে।
যশোরের কেশবপুর শহর এলাকায় হরিহর নদে আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এতে পানি দূষিত হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। নিয়মিত ময়লা ফেলার কারণে নদও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
কেশবপুর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে হরিহর নদ। এ নদ দিয়ে শহরসহ এলাকার পানি নিষ্কাশিত হয়। পলি জমে নদ ভরাট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে নাব্যতা–সংকট রয়েছে। ২০১৯ সালে জলাবদ্ধতার কারণে কেশবপুর শহরও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। দুই বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে নদ খনন করা হয়। নদ খননের পরে এলাকার মানুষ আশা করেছিলেন আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।
তবে নদে যথেচ্ছ ময়লা–আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, হরিহর নদের চারটি স্থানে নিয়মিত ময়লা–আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শহরের মাছবাজার এলাকায় তিনটি স্থান ও নতুন ব্রিজের নিচে। সেখান থেকে পানি দূষিত হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, হরিহর নদের ধানহাটা থেকে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত চারটি স্থানে ময়লা–আবর্জনা রয়েছে। এর মধ্যে পাইকারি মাছবাজার এলাকার তিনটি স্থানে কর্কশিট, পলিথিন ফেলা হয়েছে। আর নতুন ব্রিজের নিচে ময়লা–আবর্জনা এবং মুরগির পাখনা–নাড়িসহ বর্জ্য ফেলে রাখা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকার বাসিন্দারা নতুন ব্রিজের নিচে ময়লা ফেলেন। এ ছাড়া দোকানপাট ও বাসাবাড়ির ময়লাও ফেলা হয় নদে।
পাইকারি মাছবাজারে পশ্চিম প্রান্তের মুদি ব্যবসায়ী ফরিদা বেগম বলেন, অনেক দিন ধরে মাছবাজার থেকে পলিথিন ও কর্কশিট ফেলা হয়। কেউ কিছু বলেন না।
নতুন ব্রিজের পাশে শিশু হাসপাতালের নিচের ফার্মেসি মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, নদের পানি দূষিত। দুর্গন্ধে এখানে বসা যায় না। দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ সইতে হচ্ছে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
এ ব্যাপারে কেশবপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আলী হায়দার বলেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলে নদ দূষণ করার বিষয়টি তাঁদের জানা নেই। তবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।