মুন্সিগঞ্জে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে তিন বাসের সংঘর্ষে দুজন নিহত

এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রী উঠানোর সময় তিনটি বাসের সংঘর্ষ হয়। আজ রোববার মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কেউটখালী এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রী উঠানোর সময় তিনটি বাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা পৌনে তিনটার দিকে মহাসড়কের কেউটখালী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

উদ্ধারকারীরা জানান, নিহত দুজনের মধ্যে একজন শিশু, বয়স পাঁচ–ছয় বছর হবে। অন্যজন তরুণ, বয়স আনুমানিক ২২–২৩ বছর। তাৎক্ষণিক পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। সংঘর্ষের ঘটনায় তিন বাসের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঢাকামুখী মোল্লা পরিবহনের একটি বাস শ্রীনগরের কেউটখালী এলাকা থেকে যাত্রী তুলছিল। মোল্লা পরিবহনের সামনে ছিল সাকুরা পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস। ওই সময় পেছন থেকে শরিয়তপুর পরিবহনের একটি বাস এসে মোল্লা পরিবহনকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। এতে ওই তিন বাসের ১০-১৫ জনের মতো আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক যুবায়েত হোসেন খান বলেন, বিকেল চারটা পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আটজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শ্রীনগর ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা মাহফুজুর প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থলে এক শিশু ও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। মূলত মহাসড়কে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, কেউটখালীতে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ৮ জুলাই একই স্থানে যাত্রী নামানোর সময় একটি বাসকে অন্য একটি বাস ধাক্কা দিলে ১৩ জন আহত হন। দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ নির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ডে না থেমে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করানো। এ বিষয়গুলোর দিকে নজর না দিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।