চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সাবেক হিসাবরক্ষকসহ চারজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বাদী হয়ে নিজ কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মুহাম্মদ ফোরকান এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফররুখ হোসাইন, তাঁর ভাই মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন ও কর্মচারী মুকিত মণ্ডল।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের চেষ্টায় মামলা হয়েছে।
দুদকের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩-১৪ সালে ২৫০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যাসহ অন্যান্য সামগ্রীর ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার মালামাল সরবরাহ করে আহম্মদ এন্টারপ্রাইজ। যন্ত্রপাতির ত্রুটি থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেগুলো গ্রহণ করেনি। মালামাল ত্রুটি ও দরপত্রসংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে দুদকে একটি মামলা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ওই মামলার অভিযোগপত্র দেয়। মামলাটি বিচারাধীন থাকায় বিল পরিশোধ করা হয়নি।
এই অবস্থায় ২০২২ সালের জুন মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক ফোরকান ভুয়া মঞ্জুরি ব্যয় তৈরি করে সিভিল সার্জনের একক সইয়ে বিল তৈরি করেন। পরে এটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়। তবে সেটি ছাড় না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে।
২০২২ সালের জুন মাসে ওই ঘটনার পর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জালিয়াতির বিষয়টি উঠে আসায় ফোরকানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেন জেনারেল হাসপাতালের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এরপর ফোরকানকে চট্টগ্রাম থেকে মুন্সিগঞ্জে বদলি করা হয়েছিল।