সরাইলে কাতলা ধরে পুরস্কার পেলেন আড়াই লাখ টাকা

পাঁচ কেজি ও সাড়ে চার কেজি ওজনের দুটি কাতলা মাছ শিকার করে আড়াই লাখ টাকা জিতে নেন চয়ন ঠাকুর। শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বড় দেওয়ানপাড়ার দেওয়ান দিঘি এলাকায়
ছবি: বদর উদ্দিন

২৩ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে মাছ ধরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন চয়ন ঠাকুর। সারা দিন বড়শি পেতে তিনি পাঁচ কেজি ও সাড়ে চার কেজি ওজনের দুটি কাতলা মাছ শিকার করে প্রথম ও তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। সেই সঙ্গে জিতে নিয়েছেন আড়াই লাখ টাকা।

শুক্রবার দিনভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের বড় দেওয়ানপাড়ার দেওয়ান দিঘিতে বড়শি দিয়ে (ছিপ) মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেওয়ান দিঘি মৎস্য চাষ সমিতি এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের মেড্ডা এলাকার কাজল মিয়া ৪ কেজি ৭৫৭ গ্রাম ওজনের কাতলা মাছ শিকার করে দ্বিতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ টাকা। একই এলাকার জারু মিয়া ৪ কেজি ৩৪৭ গ্রাম ওজনের কাতলা শিকার করে চতুর্থ হয়ে পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ৪০ হাজার টাকা। একই এলাকার জামাল হোসেন ৩ কেজি ৭৩৫ গ্রাম ওজনের কাতলা শিকার করে পঞ্চম হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা।

দেওয়ান দিঘি মৎস্য চাষ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবছর এ দিঘিতে তিন থেকে চারবার এ রকম প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এটি এ বছরের দ্বিতীয় আয়োজন। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শৌখিন মৎস্য শিকারিরা অংশ নেন। এটি উপজেলার শত বছরের ঐতিহ্য।

শুক্রবার ভোর ছয়টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ২৫ জন শৌখিন মৎস্যশিকারি অংশ নেন। তাঁরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও ঢাকা, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ থেকে এসেছেন। এর জন্য প্রত্যেক শিকারিকে ২৩ হাজার টাকা ফি দিতে হয়েছে। প্রতিযোগীদের জন্য ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার পাঁচটি পুরস্কার।

মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা দেখতে দিঘির চারদিকে বিপুল দর্শকের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এ প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন সরাইল উপজেলা শৌখিন মৎস্য শিকার সমিতির সভাপতি রতন বক্স।

প্রথম ও তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী চয়ন ঠাকুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় শৌখিন মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকি। আজ দুটি পুরস্কার পেয়ে ভালোই লাগছে।’