কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে ক্ষমা চাইলেন আ.লীগের দুই নেতা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে অন্য দলের ভোটারদের উদ্দেশ্যে ভয়ভীতি দেখিয়ে বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গতকাল রোববার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর জবাবে এক চিঠিতে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন তাঁরা।
ওই দুই নেতা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজা এবং গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গোমস্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দীন।
গতকাল এই দুই নেতার ক্ষমা চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁদের আজ সোমবার একটি সতর্কীকরণ নোটিশও দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, যেহেতু ভুল স্বীকার ও ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে, তাই নির্বাচনের আগ পর্যন্ত (নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত) এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে সরাসরি আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি প্রথম আলোর কাছে নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রাজশাহী মো. দেলোয়ার হোসেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের একটি নির্বাচনী সভায় হুমায়ুন রেজা ও জামাল উদ্দীন বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, ‘বিএনপির লোকজন ভোট দিতে এলে তাঁদের প্রতিহত করতে হবে।’ সেখানে ইউনিয়ন পর্যায়ের আর একজন আওয়ামী লীগ নেতাও এমন বক্তব্য দেন। এ–সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে হুমায়ুন রেজা ও জামাল উদ্দীনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এতে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিশপ্রাপ্তির চার ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।