দিরাই আ.লীগের সভাপতিকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে কামাল উদ্দিনকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। মঙ্গলবার দুপুরে দিরাই শহরের থানা পয়েন্টে
ছবি: প্রথম আলো

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে কামাল উদ্দিনকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার থানা পয়েন্ট এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতা–কর্মী বলেন, কামাল উদ্দিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

কামাল উদ্দিনকে বহিষ্কারের দাবিতে আয়োজিত ওই মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কামাল উদ্দিন কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন না। তিনি মূলত যুবদল করতেন। বিএনপির আর্দশের একজন মানুষ। একটি চক্র নিজেদের স্বার্থে ওই ব্যবসায়ীকে দলে ভিড়িয়েছে। এ ছাড়া জেলা সম্মেলনের পর ঘোষিত কমিটির দুই পদের দুই নেতাই বিতর্কিত। হত্যা মামলার আসামি। দলের স্বার্থে কামাল উদ্দিনকে দলের সভাপতি পদ থেকে বাদ দিতে হবে।

সামছুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও রুবেল সরদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন দিরাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক করম মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি হায়ুম মিয়া, দিরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল মিয়া প্রমুখ।

মানববন্ধনে আনা অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে কামাল উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। গত ১৪ নভেম্বর দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের মঞ্চে রেখেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হন। সম্মেলনের এক দিন পর ১৬ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে কামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রদীপ রায়ের নাম ঘোষণা দেওয়া হয়।

সম্মেলনে মারামারির ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে আদালতে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়। দুই মামলায় নতুন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া, বর্তমান মেয়র বিশ্বজিত রায়সহ আসামি ১৪০ জন। দুটি মামলাই পুলিশ তদন্ত করছে।