আট দিন পর জামিন পেলেন খুলনায় নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার নারী

খুলনা জেলার মানচিত্র

খুলনায় নাশকতার ষড়যন্ত্র করার জন্য সমবেত হওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার আনিছা সিদ্দিকা জামিন পেয়েছেন। আজ সোমবার বিকেলে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের জন্য পুনরায় আবেদন করলে বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে দুই দফা জামিন নামঞ্জুর হয় তাঁর।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল রোববার নিম্ন আদালত থেকে নথি না আসায় আনিছা সিদ্দিকার জামিন শুনানির দিন ৩১ আগস্ট ধার্য করেছিলেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক। তবে আজ সোমবারই ওই আদালতে নথি চলে আসে। তখন ব্যাপারটি বিচারকের দৃষ্টিতে এনে আবার জামিন আবেদন করা হয়। এ সময় বিচারক আনিছা সিদ্দিকার বয়স, আগে কোনো মামলা না থাকা ও শারীরিক সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে ২০ আগস্ট দুপুরে নাশকতার অভিযোগে আনিছা সিদ্দিকাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে খালিশপুর থানা-পুলিশ। অন্য তিনজন হলেন রকিবুল ইসলাম, তামিম ইকবাল ও মোর্শেদ মামুন।

পুলিশের ভাষ্য, ওই দিন নগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি ফয়েজ উদ্দীন সড়কের সিদ্দিক হেলালের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে ধর্মীয় উগ্রপন্থী বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন, অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্রের কাজে ব্যবহৃত তিনটি ল্যাপটপ, পাসপোর্ট, চারটি মুঠোফোনসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়। তখন আনিছাসহ তিনজনকে আটক করা হয়। পরে ছয়জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন খালিশপুর থানার এসআই গোলাম মোস্তফা। পরে খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে ওই মামলার আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তবে আনিছা সিদ্দিকার স্বজনদের অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রবাসী ছেলের দেওয়া স্ট্যাটাসের জেরে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন

গ্রেপ্তারের পর আনিছা সিদ্দিকার যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ছেলে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বলেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজায় সুখরঞ্জন বালির উপস্থিতি নিয়ে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। পোস্টটি নানা জায়গা থেকে শেয়ার হয়। এর জের ধরে স্থানীয় যুবলীগ নেতারা তাঁর নানাবাড়িতে গিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছেন। এ সময় তাঁর মা প্রতিবাদ করলে তাঁকে (আনিছা সিদ্দিক) থানায় আটকে রেখে পরে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ওই মামলায় গ্রেপ্তার অন্য তিন আসামির বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করে আসামিপক্ষ। আদালত শুনানি শেষে জামিন ও রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেন। তবে অন্য তিন আসামিকে জেল গেটে এক দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত।