সাতক্ষীরায় ভাইস চেয়ারম্যানের একান্ত ছবি পোস্ট করায় চারজনের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা

প্রধান অভিযুক্ত ইয়ারব হোসেনছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার তালা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান ও তাঁর স্ত্রীর একান্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করার অভিযোগে সাংবাদিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মশিয়ার রহমান বাদী হয়ে মামলার আরজি জানান।

আদালতে বিচারক কণিকা বিশ্বাস অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে ২৫ মের মধ্যে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। মামলার আরজিতে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে ফেসবুকে একান্ত ছবি ছড়িয়ে মানহানি ও হেয়প্রতিপন্ন করার অভিযোগ করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন মানবজমিন পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ও সদর উপজেলার তুজুলপুর গ্রামের বাসিন্দা ইয়ারব হোসেন, তালা উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের আবদুল হাকিম (রাজু), শ্যামল ঘোষ, পাটকেলঘাটা থানার বিশেষ কাটিগাছা গ্রামের ভবতোষ মণ্ডল। খুলনা জজ আদালতের আইনজীবী শহীদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, ইয়ারব হোসেন নিজের মুঠোফোন নম্বর ও ই–মেইল ঠিকানা দিয়ে ‘সমাজের আলো ডটকম’ নামে ফেসবুকে পেজ খুলে মশিয়ার রহমান ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর একান্ত কিছু ছবি ছড়িয়ে দেন। গত ৩০ মার্চ ফেসবুকে তাঁর স্ত্রী ওই ছবি দেখতে পান। এর মাধ্যমে বাদী ও তাঁর স্ত্রীকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও মানহানি করা হয়েছে। আগামী উপজেলা নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে মশিয়ার রহমানের প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইয়ারব হোসেন এসব করেছেন। ওই পোস্ট অনেকে শেয়ার করেন এবং বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন। আসামি আবদুল হাকিম, শ্যামল ঘোষ ও ভবতোষ মণ্ডল নিজ নিজ ফেসবুক ওয়ালে ওই ছবি শেয়ার করেন।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ইয়ারব হোসেন বাদীর নির্বাচনী প্রতিপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে এ কাজ করেছেন। ইয়ারবের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে ‘সবে তো ভাইরাল করা হয়েছে, পরে এমন করে দেব যে চেয়ারম্যানি ছেড়ে পালাতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ বিষয়ে ৩১ মার্চ তালা থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা থেকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সমাজের আলো ডটকম’ নামে তাঁর একটি ফেসবুক পেজ আছে। একজন পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে ভাইস চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমানের কয়েকটি একান্ত ছবি তাঁর কাছে আসে। তিনি একটি ছবি পেজে পোস্ট করেছিলেন। তবে কোনো প্রতিবেদন করেননি। শুনেছেন মশিয়ার রহমান তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।