রাজৈরে একটি পক্ষের তৎপরতায় মির্জা ফখরুলের সভা স্থগিত

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মিল্টন বৈদ্য। শুক্রবার বিকেলে মাদারীপুর সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় একটি পক্ষের তৎপরতার কারণে বাধ্য হয়ে বিএনপি-সমর্থিত বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের একটি সভা স্থগিত করা হয়েছে। ওই সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা।

শুক্রবার বিকেলে মাদারীপুর সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতারা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপির কোনো প্রোগাম নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। তাদের অভিযোগের বিষয়েও কিছু জানা নেই। মির্জা ফখরুলের আগমন ঘিরে রাজৈরে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচিও দেওয়া হয়নি। তাঁরা কেন কী উদ্দেশ্যে অভিযোগ করছেন, সেটা তাঁরাই ভালো জানেন।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফ্রন্টের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মিল্টন বৈদ্য। তিনি বলেন, ‘শনিবার আমাদের সংগঠনের আয়োজনে রাজৈর উপজেলার আমগ্রামে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। এ কারণে সভা পণ্ড করতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নামে আরেকটি সংগঠন নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। ওই সংগঠন একই স্থানে সভা করার অনুমতি চেয়ে মাদারীপুরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করে। ওই আবেদনে সুপারিশ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান। এ কারণে বাধ্য হয়ে সভা স্থগিত করতে হয়েছে। এখন আগামী রোববার সীমিত পরিসরে সভা করার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছি। ওই দিন সভা করা নিয়েও শঙ্কিত আমরা।’

আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা পদে পদে বাধা দিচ্ছেন দাবি করে মিল্টন বৈদ্য বলেন, ‘আমাদের পূর্বনির্ধারিত সভা বানচালের জন্য আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ সভা-মিছিল করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আমাদের আয়োজন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মঙ্গলের জন্য। কিন্তু এটাকে রাজনৈতিভাবে প্রতিহত করা হচ্ছে।’

মিল্টন বৈদ্য মাদারীপুর-২ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। এতে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান। এ ছাড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মিল্টন বৈদ্য।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন হাওলাদার, জামিনুর হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মনিরুজ্জামান ফকু, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নৃপেন বৈদ্য প্রমুখ।