ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমা প্রকাশনের বইমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠান। আজ সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে
ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয় দিনব্যাপী প্রথমা প্রকাশনের বইমেলা শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে এই বইমেলা উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হাসেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম, প্রথমা প্রকাশনের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক (প্রশাসন) হারুন অর রশিদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সোহেল আহাদ, ফারুক ভূঁইয়া, বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মিয়া ও সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন।

আরও পড়ুন

সুনামগঞ্জে প্রথমা প্রকাশনের ছয় দিনব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন

অনুষ্ঠানে কবি জয়দুল হোসেন বলেন, ‘পাঠাগারের প্রয়োজন হাসপাতালের চেয়ে কম না, স্কুল-কলেজের চেয়ে বেশি। বাড়িতে চাইলেই স্কুল-হাসপাতাল গড়া যায় না, কিন্তু পাঠাগার গড়া যায়। মানুষের চিকিৎসার জন্য যেভাবে হাসপাতাল প্রয়োজন, মানুষের মানসিক বিকাশের জন্য বই পড়া উচিত। নিয়মিত বই পড়লে মন ভালো থাকবে। মন ভালো থাকলে শরীর ভালো হয়ে যায়। সুস্থ মন, সুস্থ দেহ। তাই সবাইকে বই পড়ায় উৎসাহিত করতে হবে। কারণ, বই পড়লে পৃথিবীর কোনো দুঃখ কাউকে স্পর্শ করে না। কারণ, বই পড়লে মানুষ পরাবাস্তবে চলে যায়।’

জয়দুল হোসেন বলেন, ‘সবার কাছে অনুরোধ থাকবে বই কিনে নিয়ে যাবেন। বই পড়বেন ও সংগ্রহ করবেন। এভাবে বাড়িতে পাঠাগার গড়ে উঠবে।’

আরও পড়ুন

স্যার জন উইলসন স্কুলের বুক-উইকে প্রথমা বুক ক্যাফে

প্রথমা প্রকাশনের বইমেলায় বই দেখছেন ক্রেতা–দর্শনার্থীরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে
ছবি: প্রথম আলো

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অনেকেই বই পড়ি না। তাই বিশ্বসাহিত্যের অনেক কিছু আমরা জানি না। বই পড়লে মানুষের মনের গোঁড়ামি দূর হয়। বিশ্বের নানাবিধ জিনিসের সঙ্গে পরিচয় হতে পারে।’

মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘বই পড়তে হবে। বই আমাদের মনকে আলোকিত করে। বই কিনে পড়তে হবে, সংগ্রহ ও বিতরণ করতে হবে। বাড়িতে পাঠাগার গড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রথমা প্রকাশনের বই প্রকাশ ও নির্বাচনে আমি অভিভূত। প্রথমার বইয়ে আমার শেলফ ঠাসা। বই পড়লে পরাবাস্তব জগতে থাকি। যখন বই পড়ি, তখন কোনো কিছু আমাকে স্পর্শ করে না। বই পড়লে মন ফুরফুরে থাকে।’

আরও পড়ুন

প্রথমা ডটকমের রিটেইল পার্টনার হিসেবে জিপ্রযুক্তি ডটকমের যাত্রা শুরু

জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে প্রথমা প্রকাশনের বইমেলা চলবে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বইমেলায় প্রথমা প্রকাশনের স্টল খোলা থাকবে। বইমেলায় প্রথমা প্রকাশনের বই এবং দেশি-বিদেশি বইয়ের বিশাল সমারোহ রয়েছে। এ ছাড়া বইমেলায় প্রথমা প্রকাশনের বইয়ে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ ছাড়, অন্যান্য প্রকাশনীর বইয়ে ২৫ শতাংশ ছাড় এবং ভারতীয় বই প্রতি রুপি ১ দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক ৮ টাকা হারে বিক্রি করা হবে। বইমেলা আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতা করছে প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভার সদস্যরা।

আরও পড়ুন

ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুলে বার্ষিক বইমেলায় প্রথমা বুক ক্যাফে