কারখানা ছুটির পর গাজীপুরের চন্দ্রায় দীর্ঘ যানজট

পোশাক কারখানা ছুটির পর আজ সোমবার দুপুর থেকে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে। চন্দ্রাসহ বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে যানজট দেখা দিচ্ছে। আজ বেলা দেড়টার দিকে চন্দ্রার ত্রিমোড়েছবি: মাসুদ রানা

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও দুপুরের পর থেকে চিত্র পাল্টে গেছে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে শুরু হয়েছে যানজট। চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে নবীনগর ও সফিপুর সড়কে দুই কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে।

মহাসড়কে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, গাজীপুর ও আশপাশের শিল্পকারখানাগুলোর ছুটি হওয়ায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ হঠাৎ করেই কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। এ কারণে চন্দ্রা মোড় থেকে যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলাচল করছে। ফলে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কে গাড়ির দীর্ঘ সারি হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুরে ছোট-বড় প্রায় পাঁচ হাজার শিল্পকারখানা আছে। এসব কারখানার মধ্যে অধিকাংশের ছুটি হয়েছে আজ। ইতিমধ্যে বেলা একটার পর অনেক কারখানার শ্রমিক ছুটি পেয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তবে বিকেল নাগাদ যাত্রীদের চাপ আরও কয়েক গুণ বাড়তে পারে।
চন্দ্রা মোড়ে রাসেল মিয়া নামের একজন পোশাকশ্রমিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ব্যাগ গুছিয়ে সকালে অফিসে গেছিলাম। ১২টার দিকে অফিস থেকে বের হয়ে গেছি। এখন চন্দ্রা আসলাম, তবে অনেক ভিড়। সমস্যা নেই, সবার যে গতি, আমারও তা-ই। অনেক সময় আছে, এর মধ্যে বাড়ি চলে যেতে পারব।’

চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার ইকো টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিক ফেরদৌস আলম বলেন, দুপুরে যে পরিমাণ মানুষ মহাসড়কে দেখা যাচ্ছে, বিকেলে কী অবস্থা হয়, বলা মুশকিল। অতিরিক্ত মানুষের চাপে ভাড়া বেশি নিচ্ছে গাড়িতে। তবু মানুষ যাচ্ছেন। ভাড়া বেশি নয়, গাড়ি পেলেই খুশি হয়ে যাচ্ছেন।

নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গাজীপুর ও আশপাশের কারখানাগুলো ছুটি হওয়ায় দুপুরের পর থেকে যানবাহনের চাপ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এ কারণে চন্দ্রা থেকে নবীনগর সড়কের দিকে যানবাহনের লাইন হয়েছে। পুলিশ চেষ্টা করছে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে।