ব্যাংক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২

বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি। আজ বিকেলে নোয়াখালীর সুধারাম থানায়ছবি: প্রথম আলো।

তাঁরা দুজন নিজেদের পরিচয় দেন বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও চেয়ারম্যান হিসেবে। গাড়ি, বাড়ি, ব্যবসা ও উদ্যোগের জন্য ঋণ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখান সহজ-সরল মানুষজনকে। শেষে ঋণের ফরম পূরণের নামে কয়েক দফায় টাকা নিয়ে সটকে পড়েন তাঁরা। নোয়াখালীতে জাবেদ নাসিম ওরফে রুবেল (৫৪) ও জহির উদ্দিন (৩৮) নামের দুই প্রতারক এভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সুধারাম থানা-পুলিশ।

পুলিশ ঝটিকা অভিযান চালিয়ে এওজবালিয়া ইউনিয়নের করমূল্যা বাজারের একটি দোকান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার জাবেদ কুমিল্লা জেলার বাঙ্গারা থানার পির কাশিমপুর গ্রামের নাসিম উদ্দিনের ছেলে। আর জহির উদ্দিন ঢাকার ডেমরা থানার পূর্বপাড়া রুস্তম আলী হাই স্কুল রোড এলাকার শামছুদ্দিনের ছেলে। প্রতারক জাবেদ নিজেকে পূবালী, রূপালী, ডাচ্‌-বাংলা, মার্কেন্টাইল, ব্র্যাক ব্যাংক ও থ্রি-ডি গ্রুপের চেয়ারম্যান, সিটি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বেশ কিছু লিফলেট, স্টিকার, ঋণ প্রদানের ফরম ও ভিজিটিং কার্ড জব্দ করা হয়।

সুধারাম থানা সূত্রে জানা গেছে, দুই বছরের বেশি সময় ধরে রুবেল ও জহির দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ লোকজনকে প্রথমে টার্গেট করতেন। পরে তাঁদের বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ব্যাংকঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। ঋণের ফরম পূরণের জন্য প্রাথমিকভাবে ফরমপ্রতি ৩ হাজার ২০০ টাকা নিতেন তাঁরা। পরে বিভিন্ন কাগজপত্রের কথা বলে আরও টাকা হাতিয়ে নিতেন। এভাবে একটি এলাকার কয়েক শ লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে একসময় উধাও হয়ে যেতেন।

সূত্র জানায়, আজ সকালে দুই প্রতারক নোয়াখালীর করমূল্যা বাজারে আসেন। সেখানে কয়েকজনের কাছ থেকে ফরমও পূরণ করে নেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানা-পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সংঘবদ্ধ চক্রটি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দেওয়ার কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। এ চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা হয়েছে।