চাঁদপুরে নৌকা-ঈগলের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের সমর্থক ও ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিসি) মোহিত চৌধুরীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছেছবি: প্রথম আলো

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে একটি কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে নৌকা প্রতীকের সমর্থক ও ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিসি) মোহিত চৌধুরীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের মুন্সীরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৬টি গুলি ছোড়ে। খবর পেয়ে প্রশাসন মুন্সীরহাট উচ্চবিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে। এর ফলে তিন ঘণ্টা সেখানে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ১০টার পর থেকে মুন্সীর হাট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমানের সমর্থকেরা জোরপূর্বক ব্যালট পেপার নিয়ে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের শামসুল হক ভূঁইয়াসহ অন্যান্য প্রার্থীর এজেন্টরা বাধা দিলে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে নৌকার সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল হক ভূঁইয়ার এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শতাধিক লোকজন ইটপাটকেল নিয়ে মুন্সিরহাট উচ্চবিদ্যালয়ে হামলা করে। একপর্যায়ে রাস্তায় থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ির কাচ ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে শটগানের গুলি বর্ষণ করে পুলিশ।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

মুন্সীর হাট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘৩০২২ জন ভোটারের কেন্দ্রটিতে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছিল। আমরা সকাল ৮টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ৪০৭টি ভোট গ্রহণ করি। কিন্তু বাইরে থেকে জাল হওয়ার গুজব ওঠায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে হট্টগোল দেখা দেয়। এর ফলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেন। তবে প্রশাসন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করায় বেলা তিনটার পর পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।’