রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশ পুরোপুরি ব্যর্থ: মেয়র খায়রুজ্জামান

বিএনপির গণসমাবেশ চলাকালে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তৃতা করেন রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান। শনিবার বিকেলে নগরের কুমারপাড়া এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান। শনিবার বিকেলে নগরের কুমারপাড়া এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যাহত ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সমাবেশের আয়োজন করে। বেলা আড়াইটায় শুরু হয়ে সমাবেশ চলে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার। এ সময় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ চলছিল ওই স্থান থেকে এক কিলোমিটার দূরে মাদ্রাসা মাঠে।

খায়রুজ্জামান বলেন, আজ রাজশাহীতে যে সমাবেশ বা মহাসমাবেশ বিএনপি আহ্বান করেছিল, যার জন্য গত কয়েক দিন থেকে তাদের নানা রকম প্রচার-প্রচারণা ছিল, প্রচুর লোক হবে, কয়েক লাখ মানুষ ও নেতা-কর্মী সমবেত করবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, মাদ্রাসা মাঠটিতে খুব বেশি মানুষ লাগে না, সেখানে প্রায় ২৫ হাজারের মতো মানুষ হলে মাঠটি কানায় কানায় ভরে যায়, আশপাশে রাস্তা মিলে ৫০ হাজার মানুষ লাগে পূর্ণ হতে। তাঁরা ড্রোনে তোলা ছবিতে দেখেছেন, বিএনপির সমাবেশের মাঠটি ফাঁকা ফাঁকা। তাদের দলের নেতা-কর্মী যাঁরা বাইরে থেকে এসেছেন, তাঁরা হয়তো ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় নেতা-কর্মীরা হয়তো সেভাবে অংশ নেননি। সাধারণ মানুষের যাওয়ার তো বাস্তবতা নেই, অংশ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এই ধরনের আন্দোলন, সরকার পতনের অগণতান্ত্রিক ঘোষণার সঙ্গে সাধারণ মানুষ থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। সেই কারণে এই সমাবেশ ফ্লপ হয়েছে।

বিএনপির আজকের গণসমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, ‘বিএনপি রাজশাহীতে সেমিফাইনাল খেলার ঘোষণা দিয়ে এসেছিল। কেন তারা রাজশাহীতে সেমিফাইনাল খেলার জন্য পছন্দ করল, সেটি আমারও প্রশ্ন। তারা হয়তো মনে করেছিল, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট ইত্যাদি তাদের সেই আগের ঘাঁটিটাই থেকে গেছে। কিন্তু ওনারা জানেন না, গত ১৪ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার এই সময়ে রাজশাহীর পাশ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদী দিয়ে অনেক মিলিয়ন কিউসেক পানি প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে গেছে। ওই পানি যাওয়ার সময় বিএনপি-জাতীয়তাবাদী যারা ছিল, তাদের অনেককে টেনে নিয়ে চলে গেছে। এটি এখন আর বিএনপির ঘাঁটি নয়। যদি তাই হতো, তাহলে আজ সমাবেশের মাঠের এই করুণ অবস্থা হতো না।’

দেশে একটার পর একটা উন্নয়ন হয়েই যাচ্ছে, বিএনপি উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেন মেয়র খায়রুজ্জামান।

বেলা আড়াইটায় শুরু হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ চলে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য আখতার জাহান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, সহসভাপতি নাইমুল হুদা, তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহসানুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ প্রমুখ।