দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

লালমনিরহাট জেলার মানচিত্র

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচন ঘিরে উপজেলা পরিষদের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসীসহ অন্তত উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে কালের কণ্ঠের স্থানীয় উপজেলা প্রতিনিধি হাসান মাহমুদের ক্যামেরা ও মুঠোফোন ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার রাত একটার দিকে স্থানীয় উপজেলা মেডিকেল মোড় এলাকায়। এর আগে শুক্রবার দিনভর প্রচার–প্রচারণা নিয়ে উত্তেজনা ছিল দুই পক্ষের মধ্যে। আহত ব্যক্তিরা বর্তমানে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে কাপ পিরিচ প্রতীকের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. লিয়াকত হোসেনের সমর্থক হাফিজুল ইসলাম আনারস প্রতীকের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় অশ্লীল মন্তব্য করেন। বিষয়টি জানতে পেরে শাহানা ফেরদৌসীর স্বামী ও উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম এর প্রতিবাদ করেন। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিতি হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে শাহানা ফেরদৌসী ও তাঁর সমর্থকদের নিয়ে মেডিকেল মোড় ত্যাগ করার সময় লিয়াকতের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় লিয়াকতের সমর্থকেরা শাহানা ফেরদৌসীর গাড়ি ভাঙচুর করেন।

সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার ভিডিও করতে গেলে কালের কণ্ঠের স্থানীয় প্রতিনিধি হাসান মাহামুদের ক্যামেরা ও মুঠোফোন ভাঙচুর করেন লিয়াকত হোসেনের সমর্থকেরা। এতে শাহানা ফেরদৌসী হাত ও শরীরে আঘাত পান। পরে আহত ব্যক্তিরা হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।

এ বিষয়ে হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কারও বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় কথা বলিনি। আমি শুধু কাপ পিরিচ মার্কার ভোট চেয়েছি।’

শাহানা ফেরদৌসী বলেন, ‘প্রতিপক্ষের চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন আমাকে নিয়ে বাজে ও অশ্লীল বক্তব্য দেন। এ ঘটনায় আমি ও আমার স্বামী প্রতিবাদ করায় লিয়াকত হোসেনের লোকজন অতর্কিত হামলা চালালে আমিসহ আমার ১০ সমর্থক আহত হই।’ অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিক আনারস মার্কা সমর্থক ও কর্মী। তাই এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নাই।’

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি।