মুন্সিগঞ্জে ঘুমন্ত অবস্থায় ছোট বোনের স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

ছুরিকাঘাতে হত্যা
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছোট বোনের স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বড় ভাই আবদুর রহমানের বিরুদ্ধের এ অভিযোগ করেন ছোট বোন রাহেলা আক্তার। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের রুদ্রপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মো. রাসেল খাঁ (৩০)। তিনি রুদ্রপাড়া গ্রামের রশিদ খাঁর ছেলে। নিহত রাসেল একই গ্রামের আবদুর রহমানের ছোট বোন রেহেলা আক্তারের স্বামী।
রাহেলা আক্তার বলেন, ‘বড় ভাই মাদকাসক্ত আবদুর রহমানের যন্ত্রণায় এলাকার মানুষ থাকতে পারছিল না। এলাকার মানুষ ঘন ঘন আমাদের কাছে বিচার দিত। আমরাও অতিষ্ঠ ছিলাম। আমাদের তিন বোনের পরামর্শে রাসেলকে দিয়ে বড় ভাইকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। এটাই রাসেলের বড় দোষ ছিল। এ কারণে সে আমার স্বামীকে মেরে ফেলল।’

স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আট বছর আগে রাহেলাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন রাসেল। তাঁদের সংসারে দুটি মেয়ে আছে। রাসেলের স্ত্রী রাহেলার বড় ভাই আবদুর রহমান একজন মাদকসেবী। তিনি মাদকের ব্যবসা করতেন। সেই সঙ্গে চুরিও করতেন। এ কারণে রাসেল ও রাহেলারা তিন বোন পরামর্শ করে আবদুর রহমানকে স্থানীয় একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করান। দুই মাস সেখানে থাকার পর সাত দিন আগে ওই কেন্দ্র থেকে চলে আসেন রহমান।

রাসেল তাঁকে কেন সেখানে পাঠান, এ নিয়ে রাসেল ও রহমানের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। গতকাল বুধবার রাতে রাসেল তাঁর খালাশাশুড়ির বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই দ্বন্দ্বের জেরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় রাসেলকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ দেন রহমান। গুরুতর আহত অবস্থায় রাসেলকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তিনি মারা যান।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লা আল তায়েবীর প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা সেখানে যান। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত রহমান পলাতক আছেন। পারিবারিক কলহের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।