চাকা ফেটে উড়ালসড়কের রেলিংয়ে আছড়ে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ধরে যায় আগুন

ফরিদপুর জেলার মানচিত্র

‘অতিরিক্ত গতির কারণে অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। গাড়িটির একটি চাকা ফেটে গেলে সেটি উড়ালসড়কের রেলিংয়ে আছড়ে পড়ে আগুন লেগে যায়। এর ফলে গাড়িতে থাকা আটজনেরই মৃত্যু হয়।’

গত শনিবার ফরিদপুরের ভাঙ্গার মালিগ্রাম উড়ালসড়কে অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনা ও আগুনে পুড়ে আটজনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটি এ অভিমত ব্যক্ত করেছে। পাশাপাশি সুপারিশ হিসেবে ওই সড়কজুড়ে স্পিড ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব করেছে তদন্ত কমিটি।

আজ সোমবার বিকেলে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার সাংবাদিকদের কাছে কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশ–সম্পর্কিত এ তথ্য প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের অতিরিক্ত গতির কারণেই সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে। এ কারণেই গাড়িটির সামনের দিকের একটি চাকা ফেটে গিয়ে সেটি উড়ালসড়কের রেলিংয়ে গিয়ে আছড়ে পড়ে আগুন লেগে যায়। এর ফলে গাড়িতে থাকা আটজনেরই মৃত্যু হয়। ওই সড়কজুড়ে স্পিড ক্যামেরা বসানোর সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
প্রসঙ্গত গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে ভাঙ্গার মালিগ্রাম উড়ালসড়কে অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দিন বিকেলে জেলা প্রশাসক ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিপুল চন্দ্র দাসকে। সদস্যরা হলেন জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান ওরফে শাকিল, হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মারুফ হাসান, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. এমরান খান, ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান ও সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরান ফারহান। এই কমিটিকে দুই কর্মদিবস অর্থাৎ আজকের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করে আজ বিকেল চারটায় জেলা প্রশাসকের হাতে প্রতিবেদন তুলে দেয়।